পরীমনিকে নিয়ে আবারও তসলিমা নাসরিনের পোস্ট

চিত্রনায়িকা পরীমনি প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন। আবার কুড়িয়েছেন অগণিত ভক্তের ভালোবাসাও। ভালোবাসার বিয়ে এক বছর না গড়াতেই আরেকবার পরীমনি ও অভিনেতা শরিফুল রাজের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের সুর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে আবারও 'রাজপরী' ঝড়। কেউ সান্ত্বনা জানাচ্ছে, কেউবা ছুড়ে দিচ্ছে কড়া মন্তব্য। তবে পরীমনির এমন পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন লেখক তসলিমা নাসরিন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে বলেছেন, ‘পরীমনির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো। মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আঘাত পায়, কাঁদে, সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে, আবার আঘাত পায়, আবার কাঁদে, আবার সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে। এ যেন একটা চক্রের মতো। সৎ, সরল এবং সংবেদনশীল মানুষই এই চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।’
পরীর সমর্থনে তসলিমা আরও লিখেছেন, ‘পরীমনি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। ও যদি মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা করে একা বাঁচতে না পারে, তবে আর পারবে কে? আমি পেরেছি। আরও অনেকেই পেরেছে। নিজেকে ভালোবাসলে পারা যায়। আমাদের তো এই দোষ, আমরা নিজেকে ভালোবাসি না। জগতের আর কোনো প্রাণী নয়, এই আমরা মেয়েরাই আমাদের আততায়ীকে ভালোবেসে তার সঙ্গে এক ঘরে, এক ছাদের তলায় বাস করি!’
এর আগে ঢাকার বোট ক্লাবের ঘটনা ও বাসায় র্যাবের অভিযানকাণ্ডে পরীমনির সমর্থনে কথা বলেছিলেন তসলিমা নাসরিন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে পরী নিজেই রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন। জানিয়েছেন তিনি রাজকে তার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। স্ট্যাটাসে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন একটি অসুস্থ সম্পর্ক থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে চাচ্ছেন। ফেসবুকে পরী লিখেছেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে মুক্ত করলাম। জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তুলনায় জরুরি আর কিছু নেই।’
পরী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজের বাসা থেকে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে বের হয়ে আসেন তিনি। এরপর মধ্যরাতে দেন স্ট্যাটাস। কিছুদিনের মধ্যে বিচ্ছেদের নোটিশও পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন পরীমনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। পরিচয় হওয়ার মাত্র সাত দিনের মাথায় তারা বিয়ে করেছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘরে আসে একমাত্র পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: