• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন যেসব নারীরা

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ৯ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন যেসব নারীরা

বিশ্ব জুড়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতি আটজনের মধ্যে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের ধারণা, স্তন ক্যান্সার শুধু নারীর ক্ষেত্রেই হয়। আসলে এতে নারী-পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এই রোগে পুরুষের তুলনায় নারীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি’র হিসেবে, নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ স্তন ক্যান্সারে ভোগেন। নারী-পুরুষ মিলে ৮.৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার শীর্ষে রয়েছে। আইএআরসি বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৩ হাজারের বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬৭৮৩ জন।

স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমারে পরিণত হয়। সেটি রক্তনালীর লসিকা ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাই ক্যান্সার।

স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস অক্টোবর। এই উপলক্ষে আয়োজিত সচেতনতামূলক এক র‍্যালিতে জানানো হয়েছে নয় শ্রেণির নারীর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

১. বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে
২. স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে
৩. বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা
৪. সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো
৫. দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খাওয়া
৬. ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হওয়া অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া
৭. অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস
৮. ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত থাকা
৯. দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা

ঝুঁকিতে থাকা এই নয় শ্রেণির নারী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজে স্তন ক্যান্সারের বিপদ এড়িয়ে চলতে পারেন। যেহেতু এ রোগটির নির্দিষ্ট কোনও কারণ এখনো জানা যায়নি, তাই এই রোগ এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো উপায় বলা যাবে না। তবে কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।

১. ২০ বছর বয়স থেকে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করুন।
২. ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ১ম সন্তান জন্ম দেয়ার চেষ্টা করুন।
৩. সন্তানকে বুকের দুধ পান করান।
৪. খাবার দাবারের ক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
৫. ফলমূল এবং সবজি বেশী খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৬. ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ জাতীয় ফলমূল বেশী খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. যেসব খাবারে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যেমন গাজর, মিষ্টি আলু এবং সবুজ শাক বেশি বেশি খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৮. যাদের ওজন বেশী অবশ্যই তাদের ওজন কমাতে হবে।
৯. মানসিক চাপ থাকলে সাইকোথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
১০. ধর্মীয় অনুশীলন মেনে চলুন।
১১. জীবনযাত্রায় নৈতিকতা এবং শৃংঙ্খলা বজায় রাখুন।
১২. ধূমপান ও এ্যালকোহল পরিহার করুন।
১৩. রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে মেমোগ্রাফি করুন।
১৪. সন্দেহ থাকলে ক্যান্সার সার্জনের শরনাপন্ন হন।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2