পানির ড্রাম,পাখা আর পর্দা দিয়ে তৈরি হোমমেড এসি

প্রযুক্তির প্রতিটা পর্যায়ে ঠিক কতটা সৃজনশীলতা থাকতে পারে? তার আন্দাজ কিন্তু আমরা পাই না। কারণ, আমরা সেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি প্রডাক্টটা হাতে পেয়ে গেলেই খুশি! কিন্তু সেই প্রডাক্ট যদি আমরা তৈরি করতে যাই, বা তার কিছু একটা বিকল্প নিয়ে আসতে পারি, তাহলেও তো মন্দ নয়।
চিত্তাকর্ষক একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে অসামান্য সৃজনশীলতার প্রদর্শন করে একটি এয়ার কুলার তৈরি করতে দেখা গেছে। একটি বড় জলের ড্রাম, একটি পাখা এবং কয়েকটি খুস পর্দা ব্যবহার করে এয়ার কুলারটি তৈরি করে ফেলেছেন। ঘরটাকে ঠান্ডা রাখবেন বলে তিনি দোকানে গিয়ে এসি বা কুলার কেননি। বরং, নিজের দক্ষতা এবং কল্পনাশক্তিকে কাগে লাগিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন ওই কুলার।
কীভাবে তৈরি করলেন:
প্রথমে তিনি একটি বড় বালতি নিয়ে তাতে গর্ত করেন। তারপর সেই গর্তে একটি ফ্যান ঢুকিয়ে দেন এবং ফ্যানের পিছনের দিকটিতে কিছু ঘাস রেখে দেন। সেই ঘাসগুলি ভেজানোর জন্য একটি পাম্পও ব্যবহার করেন তিনি এবং সেই বালতিতে জল ভরে দেন। এরপর যখন ওই ফ্যানটি চালালেন, তখন ঘরে শীতল বাতাস বইতে শুরু করল। ব্যস! এই ভাবেই অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেললেন একটা এয়ার কুলার এবং পরিবেশটাকেও সামান্য হলেও নিজের মতো করে যতটা সম্ভব বাঁচালেন।
প্রকৃতি এবং সৃজনশীলতার প্রকাশ করতে ভালবাসেন, এমন অনেক মানুষ এই ভিডিওর প্রশংসা করেছেন। অনেকেই দাবি করেছেন, এই ভাবে এয়ার কুলার তৈরি এবং তা চালানো পরিবেশের জন্য খুব ভাল। কারণ, ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের মতো রাসায়নিকের ব্যবহার এড়ানো যায় এই প্রক্রিয়ায়, যা ওজন স্তরের ক্ষতি করে এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে বড় অবদান রাখে। তার থেকেও বড় কথা হল, এয়ার কন্ডিশনারগুলি প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ করে। সাধারণ মানুষকে অনেক টাকা খরচ করে একটা এসি কেনার পরেও বিদ্যুৎ বিলের জন্যও মাসে মোটা টাকা খরচ করতে হয়। তাই, বাড়িতে এই ধরনের এয়ার কুলারের মতো ঘর ঠান্ডা করার বিকল্প পদ্ধতির সন্ধান আসলেই পরিবেশ-বান্ধব।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: