রুয়েটে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) অনুষ্ঠিত হলো “সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ” শীর্ষক সেমিনার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির (প্রস্তাবিত জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি), আয়োজনে দিনব্যাপী সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সভাপতিত্ব করেন রুয়েট কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী অনুষদের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আল মেহেদী হাসান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এর মহাপরিচালক জনাব আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান এনডিসি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. শামীম আহমদ।
"সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করণ এবং সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ" শীর্ষক সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ,শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজশাহী জেলার আইসিটি কর্মকর্তাগণ, ডিএসএ’র কর্মকর্তাগণ এবং সাংবাদিকগণ।
সেমিনারের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সর্বদা নিজেদের সাম্প্রতিক সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয় তুলে ধরেন। ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়কদীর্ঘ প্রশিক্ষনের উপরে গুরুত্বারোপ করেন।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক ও ডিএসএ’র মহাপরিচালক দেশের সাইবার স্পেসকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন অনুমোদিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর প্রয়োজনীয়তা এবং সাইবার নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি সরকার ঘোষিত ৩৪টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর (CII) সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে ডিএসএ’র কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (প্রস্তাবিত জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি) এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সাইবার ফরেন্সিক ল্যাবের কার্যাবলী এবং শিক্ষার্থীদের উক্ত ল্যাবেপ্রশিক্ষনের বিষয় তুলে ধরেন। সরকার সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে অবহিত করেন।
সেমিনারের আলোচক প্রফেসর ড. শামীম আহমদ সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করণে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভূমিকা এবং বিভিন্ন সাইবার অপরাধের ধরন ও তা প্রতিরোধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
নিজস্ব সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ সাইবার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারি মর্মে মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দেশে সাইবার সিকিউরিটি ও ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী দ্রুত চালুর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষ আইসিটি গ্রাজুয়েট নিয়োগের মাধ্যমে সাইবার থ্রেট মোকাবেলায় গুরুত্বারোপ করেন।
উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণকারী গণ নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক, আলোচকবৃন্দ এবং ডিএসএ’র কর্মকর্তাগণ উক্ত প্রশ্নসমূহের উত্তর প্রদান করেন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: