বরিশালে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বরিশালে "নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহসপতিবার (৭ ডিসেম্বর) শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আজিজুল হক এবং সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডাঃ জি এম নাজিমুল হক , উপাধ্যক্ষ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এর মহাপরিচালক জনাব আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান এনডিসি । আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারীঅধ্যাপকমোঃ রাশিদ আল আসিফ।
"নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ" শীর্ষক সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেনশের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষকগণ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, বরিশাল জেলার আইসিটি কর্মকর্তাগণ, এনসিএসএ’র কর্মকর্তাগণ এবং সাংবাদিকগণ।
সেমিনারের প্রধান অতিথি আলোচনায় জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি গঠনের জন্য প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সাইবার ঝুঁকি এবং মোবাইল স্ক্যাম নিয়েসকলকেসতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও এনসিএসএ’র মহাপরিচালক সাইবার স্পেসে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সাইবার নিরাপত্তায় দেশের সাইবার স্পেসকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন অনুমোদিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ এর প্রয়োজনীয়তা এবং সাইবার নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’র কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। সরকার সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে অবহিত করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চারটি পিলার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সবাইকে স্মার্ট সিটিজেন হতে হলে কি করণীয় তা তুলে ধরেন।
সেমিনারের আলোচক মোঃ রাশিদ আল আসিফবাংলাদেশের ব্যাংকে সংঘঠিত সাইবার হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি দেশে বিদেশে ঘটে যাওয়া সাইবার ক্রাইমের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। উনি বলেন, ৫১% সাইবার ক্রাইমসংঘঠিত হয় ফিশিং এর মাধ্যমে। তিনি দেশে সাইবারনিরাপত্তাআইন খুবই প্রয়োজন ছিল মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
সাইবার টিনস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরষ্কার ২০২০ বিজয়ী সাদাত রহমান তার আলোচনায় কিশোর-কিশোরী বিশেষ করে নারীদের সাইবার বুলিং এর বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেন এবং সাইবার বুলিং এর শিকার হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনকৃত হটলাইন নম্বর ১৩২১৯ হটলাইনে জানানোর জন্য বলেন।
উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক, আলোচকবৃন্দ এবং এনসিএসএ’র কর্মকর্তাগণ উক্ত প্রশ্নসমূহের উত্তর প্রদান করেন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: