আইসিটি সচিবের নামে প্রতারণার ফাঁদ

“এই নাম্বারটি আইসিটি সচিব এর নয়। আইসিটি সচিবের নাম করে অনেকের কাছে ফোন যাচ্ছে। এবং মোবাইলের ওটিপি চাইছে টাকা প্রদান করবে বলে। আইসিটি থেকে কোন উদ্যোক্তার কাছে কোন প্রকার টাকা যাচ্ছে না। দয়া করে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। মোবাইলের কোন ইনফরমেশন কাউকে দিবেন না”
এই রকম একটি পোস্ট পাওয়া গেল নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উই-এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিসার ফেসবুক পোস্টে। পোস্টের সুত্র ধরে কথা হলো তার সাথে। তিনি বলেন, আমার একাধিক উদ্যোক্তাদের কাছে আইসিটি সচিবের নামে ফোন করে টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাই সবাইকে সতর্ক করতেই পোস্টটি শেয়ার করেছি।
নওরীন নামে একজন উদ্যোক্তা বাংলাভিশনকে বলেন, আমার কাছে আইসিটি সচিবের নামে একজন ফোন (01602-089302) করে আমার ব্যবসা, ঠিকানা, ব্যাংক ইত্যাদি সংক্রান্ত অনেক ব্যাক্তিগত তথ্য বলছে যা আমি কখনোই কারো সাথে শেয়ার করিনি।
তারপর আইসিটি ডিভিশন থেকে টাকা দেওয়া হবে জানিয়ে পরপর দুটি এসএমএস পাঠিয়ে ওটিপি নাম্বার চায়। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে একপ্রকার বাকবিতণ্ডার পর ফোন কেটে দেয়। তিনি বিস্ময়ের সাথে বলেন, তারা এতো সঠিক এবং গোপনীয় তথ্য কোথায় পায়।
মেহেরুন নেসা নামে আরও একজনকে আইসিটি সচিবের নামে ফোন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমার কাছে গতকাল ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলে কল এসেছিল যেহেতু আমি আগে থেকেই জানি বিষয়টা..... তাই আমি ইচ্ছামতো কানে না শোনার ভাব করে অর্ধেক বিরক্ত করছি, পরে বলছি আমি এইগুলো বুঝিনা। বেচারা ১৮,০০০ পর্যন্ত যেতেই পারে নাই। নিজেই লাইন কেটে দিছে।”
নওরীন আরা রনি নামে একজন বলেন, “আমার কাছে ৫/৬ দিন আগে কল আসছিলো ১৮০০০ টাকা দিবে নাকি আইসিটি মন্ত্রণালয় যখন ব্যাংক কার্ডের নম্বর চেয়েছে, তখনি বুজতে পেরেছি ফ্রড। সবাই সাবধান। তাদের কথায় না পটলে অনেককে শুনেছি বকাঝকাও করে।”
নোভেরা শবনম নভু নামে আরো একজন বলেন, ঠিক এই একই প্রসেস এ আমাকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল।
মাহমুদা আক্তার নামে একজন বলেন, “১ সপ্তাহ আগে আমার কাছেও কল এসেছিল। আমার কাছে একাউন্ট নম্বর জানতে চেয়েছিল। যখন বলেছি আমার কোন একাউন্ট নেই তখন খারাপ কথা বলে কল কেটে দিয়েছে।
শামিমা সুলতানা আরো এক উদ্যোক্তা বলেন, আমার কাছেও গতকাল বিকেলে কল করেছিল। আমাকে ১৮০০০৳ দেবে বলে আমার এটিএম কার্ডের নাম্বার চেয়েছিল। পুরো ব্যাপারটা বিভ্রান্তিকর। এই সেইম নাম্বার থেকে কল দিয়েছি”।
এছাড়া শামিমা রহমান নামে আরও একজনকে একই নাম্বার থেকে উপসচিব পরিচয়ে ফোন দেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক বা কোনো প্রতিষ্ঠান কখনোই অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড, কার্ডের পিন নাম্বার ইত্যাদি জানতে চায়না। তাই এসব প্রতারক থেকে বাঁচতে অবশ্যই সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: