• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবির ডিফাইন কোডারস

প্রকাশিত: ১২:০৬, ১২ মে ২০২৪

আপডেট: ১২:২৯, ১২ মে ২০২৪

ফন্ট সাইজ
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথনে চ্যাম্পিয়ন শাবিপ্রবির ডিফাইন কোডারস

‘কোডসামুরাই- আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন ২০২৪’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিফাইন কোডারস। সেই সাথে প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ স্থান অর্জন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিইউ-প্রমিথিউস এবং ডিইউ_ ডিলিজেন্স।

গতকাল (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘কোডসামুরাই— আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন ২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজির যৌথ আয়োজনে এ হ্যাকাথন সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে স্বাগত জানিয়ে তাদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান। সেই সাথে, তিনি এই আয়োজনকে সফল করার জন্য সকল অংশগ্রহণকারী এবং আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

হ্যাকাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল অতিথির ভাষণ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, সালমান ফজলুর রহমান, এম.পি.।

তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মাঝে ব্যবধান দূর করে, শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তব জগতের সমস্যা সমাধানের সুযোগ ও অভিজ্ঞতা প্রদান করে। কোডসামুরাই প্রতিযোগিতার মতো ইভেন্ট শিক্ষার্থীদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রকল্পগুলিতেও অবদান রাখতে সক্ষম করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বিশেষ অতিথি রিয়ার অ্যাডমিরাল এ. এ. মামুন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, তার বক্তব্যে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সাহস, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী দক্ষতার প্রশংসা করেন।

বিশেষ অতিথি জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এই হ্যাকাথনকে বাংলাদেশ ও জাপানের সহযোগিতার এক অনন্য নিদর্শন উল্লেখ করেন।তিনি জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে আরও শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি আইসিটি খাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং জাপানি কোম্পানিগুলোর এক সঙ্গে কাজ করার পারস্পরিক আগ্রহকেও তুলে ধরেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল তার বক্তব্যে বলেন, হ্যাকাথনগুলো কেবল কোডিং চ্যালেঞ্জ হিসাবে পরিচিত হলেও এগুলি আসলে সমমনা ব্যক্তিদের, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের এবং উদ্যোক্তাদের মিলিত হওয়ার একটি মঞ্চ।
এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন জাইকা বাংলাদেশের প্রধান মি. ইচিগুচিতো মোহিদে, জেট্রো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. ইউজি আন্দো প্রমুখ।

এই পর্যায়ে বিচারক প্যানেল স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করেন।প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে দেশের ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬টি দল অংশ নেয়। ড. উপমা কবির, কোড সামুরাই ২০২৪ এর আহবায়ক, অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

হ্যাকাথনের সঞ্চালক অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশীদ প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। অনুষ্ঠানে জাপানের জনপ্রিয় জাদুশিল্পী মি. শুট ওগাওয়া তার মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে সকলকে আনন্দিত করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ী দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং অনুষ্ঠানটি ফটোসেশন ও আনুষ্ঠানিক ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: