রাজধানীতে প্রতি ঘন্টায় ছিনতাই হচ্ছে প্রায় দশটি মুঠোফোন

সারাদেশে কোথাও না কোথাও প্রতিদিন মুঠোফোন ছিনতাই বা চুরির ঘটনা ঘটলেও রাজধানীতে এর মাত্রা বেড়েছে অত্যধিক। মুঠোফোন ছিনতাই এর ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে যা অত্যন্ত উদ্যোগ জনক বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
ছিনতাই ও চুরি বন্ধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। অত্র সংগঠন এবং পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাপ্ত সকল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে দেখা যায়, খোদ রাজধানীতেই প্রতি ঘন্টায় ছিনতাই বা চুরি হচ্ছে প্রায় দশটি মুঠোফোন। যা অত্যন্ত উত্তেজনক।
বিবৃতিতে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, পল্টন বিজয়নগর, কাকরাইল মোড়, পুরানা পল্টন চার রাস্তা মোড়, গুলিস্তান স্টেডিয়াম জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে, টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর, নিউ মার্কেট, মিরপুর ১০ ও মিরপুর-১, মহাখালী।
এছাড়াও অন্যান্য এলাকায় ছিনতাইয়ের পরিমাণ কম হলেও টুকটাক যে হচ্ছে না তা নয়। গুলিস্তান এর ফুটপাত, পাতাল মার্কেট, শনির আখড়া, মিরপুর ১০ এসকল এলাকায় ছিনতাইকৃত মোবাইল বিক্রি করা হয় প্রকাশ্যে। দামি এবং নতুন ডিভাইসগুলির আই এম ই আই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি) পরিবর্তন করে এ সকল মুঠোফোন আবার অনলাইনে বা বিভিন্ন শোরুমেও বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক নিরীহ মানুষ না বুঝে এ সকল হ্যান্ডসেট ক্রয় করে পুলিশের হয়রানি শিকার হচ্ছে ।
বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে গ্রাহকরা অভিযোগ করেও এসব অল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে না। অন্যদিকে তারা শোরুমগুলিতে অবৈধ আমদানিকৃত হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও ফুটপাত ও পাতাল মার্কেটের তাদের অভিযান পরিচালনা করার কোন নজির নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মাঝে তৎপর হলেও এ সকল নেশাখোর ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন তা বোধগম্য নয়।
তাই গ্রাহকের স্বার্থে বিভিন্ন সংস্থা, বিটিআরসি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে চিরুনী অভিযান পরিচালনার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: