১৫ হাজার টাকার মোবাইল কিনতে হবে ১৮ হাজার টাকায়!

এবারের বাজেটে মোবাইল ফোনের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে যে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কর ক্রেতাকেই দিতে হবে।
দেশের মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএমপিআইএ) সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া শহিদ মোবাইলের ভ্যাট প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুদিন ধরে মোবাইলের দাম বেড়েছে অন্তত ১০-১৩ শতাংশ। নতুন বাজেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় দাম আরও বাড়বে। আর বাড়তি এই টাকা ক্রেতারাই দিবেন।’ সব মিলিয়ে ক্রেতাকে আগামীতে বর্তমান দামের চেয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি দামে মোবাইল ফোন কিনতে হবে বলে মনে করেন তিনি। যে কারণে একটি ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন কিনতে হবে ১৮ হাজার টাকায়। ৩০ হাজার টাকা দামের ফোন কিনতে হবে ৩৬ হাজার টাকায়।
বাজেটে আমদানি করা ল্যাপটপে ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ল্যাপটপের দাম বাড়বে। দাম বাড়বে প্রিন্টার, কার্ট্রিজ, টোনার ও পোর্টেবল ডাটা প্রসেসিং যন্ত্রেরও।
অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৯ জুন) তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করছি। এর ফলে পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ। ফলে বাজারে বিক্রি হওয়া ৫০ হাজার টাকার একটি ল্যাপটপ এখন ক্রেতাকে কিনতে হবে ৬৬ হাজার টাকার বেশি দামে। এক লাখ টাকা দামের ল্যাপটপ কিনতে হবে একলাখ ৩২ হাজার টাকার বেশি দিয়ে।
কিন্তু প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি সুব্রত সরকার বলছেন, ‘এই ঘোষণার পরে মোট করভার হবে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। কারণ, আমাদের এআইটি দিতে হয়।’ ফলে ক্রয় মূল্য আরও বেশি হবে।
বিসিএস সভাপতি বলেন, ‘এমনিতেই ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রযুক্তি পণ্যের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। জাহাজ ভাড়া বেড়েছে, বেড়েছে অন্যান্য যন্ত্রাংশের দামও। ল্যাপটপে আরোপ করা হচ্ছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। এআইটিও আছে। সব মিলিয়ে আমদানি করা ল্যাপটপের দাম বাড়বে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ, যা অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বাজার অস্থির হয়ে পড়বে। এসব বিষয় জানাতে আমরা শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরবো।’
প্রযুক্তি বাজার সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে প্রতি মাসে ২০-২৫ হাজার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিক্রি হয়। করোনাকালে যা পৌঁছেছিল ৪০ হাজারে। দীর্ঘদিন ধরে প্রযুক্তি বাজারে বয়ে চলা মন্দা আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন: