বন্যার্তদের সহায়তায় বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর

বন্যা দূর্গত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটররা। বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অবস্থিত অনেক সাইট (BTS) বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উক্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। মোবাইল অপারেটরদের প্রচেষ্টায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০/০৬/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১,১৪৬ টি সাইট পুনরায় সচল করা হয়। বর্তমানে সকল অপারেটরদের মোট ৯৭৬ টি সাইট বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে নেটওয়ার্কের আওতাবহির্ভূত রয়েছে। তবে উক্ত সাইট সমূহ সচল করার জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গ্রাহকদের জরুরি যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে মিনিট, এসএমএস এবং ইন্টারনেট ডেটায় অফার দিয়েছে কোম্পানিগুলো। রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন কোম্পানি টেলিটক ১৫ মিনিট টকটাইম, ৫০০ এমবি ইন্টারনেট ও ২০ এসএমএস সম্পূর্ণ ফ্রি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া গ্রামীণফোন ১০ মিনিট টকটাইম এবং রবি ১০ মিনিট টকটাইম সাথে ১০ দিন মেয়াদে ১০০ এমবি ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে বিটিআরসি হতে বন্যাকবলিত স্থানসমূহের টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং-এর উদ্দেশ্যে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। উক্ত মনিটরিং সেল দুর্যোগ কবলিত স্থানে নেটওয়ার্ক পুনরায় সচলের জন্য সকল অপারেটরদের সাথে সার্বিক সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোপূর্বে গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে বিটিআরসি হতে ০৪ টি অপারটরের মোট ১৬টি টোল ফ্রি নম্বরের অনুমোদন প্রদান করে সেসকল নম্বর সমূহ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। যা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উদ্ধার-তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, এই দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেটরদের নেটওয়ার্ক পুনরায় সচল করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রদত্ত সড়ক ও নৌ পথে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, বিটিসিএল ইত্যাদি অপারেটরগণ তাদের সাইট দ্রুত সময়ে সচল করতে পেরেছে। পরিবহন ব্যবস্থা ছাড়াও দুর্গম এলাকায় পোর্টেবল জেনারেটর বহনের ন্যায় কার্যক্রম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালনা করেছে যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অপারেটরগণ উপকৃত হয়েছে।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: