চার্জ বেশি থাকে যেসব স্মার্টফোনে !!

আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ গ্যাজেট স্মার্টফোন। ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ব্যবসায়িক কাজে প্রতি মূহূর্তই একটি স্মার্টফোন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। অনেক সময়ই দেখা গেছে, স্মার্টফোনে চার্জ না থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে থাকে। তাই ভাল ব্যাটারী ব্যাক-আপ সমৃদ্ধ একটি স্মার্টফোন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোনের কনফিগারেশন আলাদা আলাদা। কোন ফোনের র্যাম বেশি, তো কোনটির রম কম, আবার কোনটির ব্যাটারী ৫০০০ মি.অ্যা. হলে অন্যটির ৪০০০ বা ৪৫০০ মি.অ্যা.।
বাজারে ভাল ব্যাটারী ব্যাক-আপ যুক্ত অনেক ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যায়, এদের মধ্য কিছু তুলে ধরা হলো:
আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স:
উন্নত মানের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করায় অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ব্যাটারী লাইফ অনেক বেশি। ৩০ মিনিটের চার্জে সারাদিন চলে এই ফোন। দেড় ঘন্টায় ফুল চার্জিত হয়ে এই ফোন।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা:
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা স্ন্যাপড্রাগন ৮জেন ১ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে ৪৫ ডাবলু চার্জ। ফলে একবার চার্জে একটানা একদিন অনায়াসেই চলে যায়।
অপ্পো রেনো ৭ প্রো ৫জি:
অপোর এই ফোনে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ১২০০ টিপ ফলশ্রুতিতে সারাদিন ব্যবহারের পরেও ২০-৩০ শতাংশ চার্জ অবশিষ্ট থাকে। এছাড়াও উন্নতমানের সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন রয়েছে এই ফোনে। ফোনের ৬৫ ডবলু ফাস্ট চার্জ সিস্টেম থাকায় মাত্র ৪৫ মিনিটেই এই ফোন ফুল চার্জ হয়ে যায়।
আইকিউওও নিও ৬:
নিও’র এই ফোনে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ চিপ এবং উন্নতমানের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সাথে আছে ৮০ ডব্লিউ চার্জ ফলে ৪৫ মিনিটের ফুল চার্জে সারাদিন অনায়াসেই এই ফোন ব্যবহার করা যায়।
মটোরোলা মটো জি৫২:
মটোরোলার এই ফোনে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ চিপ, অ্যান্ড্রয়েড ১২ এবং ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির এই ফোনে রয়েছে ২০ ডব্লিউ চার্জ। ফলে সহজেই দু’দিন ব্যবহার করা যায় এই স্মার্টফোন।
পোকো এক্স৪ প্রো ৫জি:
পোকো এক্স৪ প্রো ৫জি ফোনে রয়েছে ১২০ এইচজেড অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ চিপ। ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সমৃদ্ধ এই ফোনে আছে আছে ৬৭ ডব্লিউ ফাস্ট চার্জ।
বাজেট আর পছন্দে মিলে গেলে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে এসব ফোন।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: