‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ এ মতামতে ১০ দিন সময় পেল গণমাধ্যমকর্মীরা

আগামী ১০ দিন সংবাদ কর্মীরা উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২ এ মতামত দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’এর খসড়ায় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আইসিটি ডিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রস্তাবিত খসড়ায় সবশেষ সংস্করণটি আপলোড করা থাকবে। গণমাধ্যম কর্মীরা প্রস্তাবিত খসড়ায় তাদের মতামত লিখিত আকারে মেইলের মাধ্যমে জানাতে পারবে। ডিভিশন সেটিকে আমলে নিয়ে পরবর্তী খসড়া প্রস্তুত করবে।
প্রস্তাবিত খসড়া আইন বিষয়ে সভায় একটি প্রেজেন্টেশন দেন বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম. বরকতুল্লাহ। তিনি বলেন, মূলত প্রস্তাবিত আইনটি কাউকে নিয়ন্ত্রণ নয় বরং প্রোটেকশনের জন্য। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতেই আইনটি করা হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডেটা হচ্ছে আমাদের অতি মূল্যবান সম্পদ। এই মূল্যবান সম্পদ রক্ষার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে। বিদেশীরা যাতে আমাদের ডেটার যথেচ্ছা ব্যবহার করতে না পারে তার বিধান থাকছে এই আইনে।
প্রস্তাবিত আইনে কিছু শব্দের বিষয়ে সভায় সংশোধনের প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করা হয় সভায়। আইনে ‘নিয়ন্ত্রণ’ শব্দের পরিবর্তে ‘ব্যবস্থাপনা বা ‘সমন্বয় ‘ব্যবহারের বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ এর পরিবর্তে স্বাধীন ‘ডেটা কমিশন’ গঠনের পরামর্শ দেন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচন কমিশন ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ এর মতো বায়োমেট্রিক ডেটা সংরক্ষন করছে। আবার সেই ডেটা বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ার করছে। অ্যাডসেন্স থেকে আমারা বুঝতে পারি আমাদের ব্যক্তি পছন্দ অপছেন্দের তথ্য ঠিকই অন্যের হাতে যাচ্ছে। তাই এ জন্য আইন তৈরির আগে ডাটা সুরক্ষার জন্য ‘ডাটা কমিশন’ করা উচিত।
বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে যেহেতু আইনটি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে সেহেতু আইনটি ‘প্রগ্রেসিভ’ হবে বলে মনে হয়। তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত হওয়ার পর এবং পাশ হওয়ার আগে আবারো যেনো আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখেন প্রতিমন্ত্রী।
উন্মুক্ত আলোচনায় সংবাদিকদের দেয়া নানা পরামর্শের ওপর আইনিটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন আইসিটি বিভাগের আইন ও পালিসি অনুবিভাগের পরামর্শক মোঃ শহীদুল হক। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে স্বগত বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের আইন ও পলিসি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সরকার জানান, ২৪ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত অনলাইনে মাতামত নেয়া হয়েছে। তবে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতামত নেয়া হচ্ছে। সভায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: