• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতি ও ইকোসিস্টেমকে ত্বরাণ্বিত করবে হুয়াওয়ে কানেক্ট

প্রকাশিত: ১৮:২১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৮:২৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি, অর্থনীতি ও ইকোসিস্টেমকে ত্বরাণ্বিত করবে হুয়াওয়ে কানেক্ট

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে শুরু হয়েছে বৈশ্বিক আইসিটি খাতের জন্য হুয়াওয়ের সপ্তম বার্ষিক ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হুয়াওয়ে কানেক্ট ২০২২। ‘আনলিশ ডিজিটাল’ প্রতিপাদ্যের এই আয়োজনে সারা বিশ্বের আইসিটি খাতের দশ হাজারেরও বেশি শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ এবং সহযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। কীভাবে আরও কার্যকরভাবে ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায়, ডিজিটাল অর্থনীতিকে উৎসাহিত করা যায় এবং শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করা যায় তার ওপর অনুষ্ঠানে গুরুত্বারোপ করেন অংশগ্রহণকাররীরা। 

সব ধরনের সহযোগিতা ও সাফল্য ভাগ করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি করে স্থানীয় ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য সরকার ও এন্টারপ্রাইজগুলোকে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য এই আয়োজনে আহ্বান জানায় হুয়াওয়ে। কারণ হুয়াওয়ের মতে, এই অংশীদারিত্বই উদ্ভাবনী অংশীদারদের একত্রিত করবে, মেধাবীদের বিকাশ ঘটাবে ও স্টার্টআপগুলোর প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান করবে।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে হুয়াওয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সায়মন লিন বলেন, “হুয়াওয়ে এই অঞ্চলে ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ধারাবাহিকভাবে এর ডিজিটালাইজেশন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেম তৈরিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সচেষ্ট থাকবো।”

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকারি প্রতিনিধিরাগণও তাঁদের নিজ-নিজ দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন: বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান; থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানি মন্ত্রী সুপ্তানাপং পুনমিচাও, এবং ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন সরকারের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ। 

বিশাল এই আয়োজনের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান তাঁর মূল বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি সকলের সামনে বাংলাদেশের আইসিটি খাত, অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে এই দেশের  অগ্রগতিগুলো তুলে ধরেন। গত কয়েক বছরে টেলিযোগাযোগ খাতের ওপর এই দেশের গুরুত্বারোপ ও উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি দেশের টুজি থেকে ফোরজি’র অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশের সবাই যে ফোরজি কাভারেজ সুবিধা পাচ্ছেন সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন। ফাইভি প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও যে সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছে সে বিষয়েও আলোকপাত করেন তিনি।  

তিনি তাঁর মূল বক্তব্যে হুয়াওয়েকে বিগত ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশে আইসিটি ও ডিজিটাল পাওয়ার খাতে সহায়তা করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের অংশীদার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য উন্নত টেলিকম যোগাযোগ, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডিজিটাল এনার্জি, স্মার্ট ফটোভোলটাইক্স প্রযুক্তি আনতে হুয়াওয়ের সদিচ্ছার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। স্থানীয় মেধাবীদের বিকাশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট জরুরি পরিস্থিতিতে হুয়াওয়ে যে ভূমিকা পালন করছে সেই বিষয়টিও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
প্রাসঙ্গিকভাবেই এই অনুষ্ঠানে সাইমন লিন ডিজিটাল ফার্স্ট ইকোনমি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ এবং ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতিগত পরামর্শের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।

২০২২ সালে হুয়াওয়ে কানেক্ট এর গ্লোবাল ট্যুরের প্রথম ধাপ হলো ব্যাংককের তিন দিনের এ সম্মেলনটি। দু’টি মূল অধিবেশন, ছয়টি শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি একাধিক ব্রেক-আউট সেশন ও ডেমোসহ চলতি বছরের এ অনুষ্ঠানটিতে সরকার ও এন্টারপ্রাইজগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের পথচলায় যে সব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছে, ডিজিটাল অবকাঠামোতে হুয়াওয়ের অগ্রগতি, প্রতিষ্ঠানটির সর্বাধুনিক ক্লাউড সার্ভিস ও ইকোসিস্টেম পার্টনার সল্যুশন এর বিভিন্ন বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।  


 

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2