মহাকাশে ডেটা সেন্টারের পরিকল্পনায় ইসি

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বদলেছে পৃথীবির চেহারা, বাড়ছে ঝুঁকি। অকাল বন্যা, খরা, মহামারীতে দেখছে বিশ্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাঁচতে আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন নিয়ম-কানুন থাকলেও তা একপ্রকার কাজে আসছে না, ফলে পরিবেশের বিরুপ প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছে কোন দেশই।
প্রাযুক্তিক বিশ্বায়নের এই যুগে কল-কারখানা, বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্ট, হাইটেক অবকাঠামো ইত্যাদির ফলে পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব লক্ষ্যণীয়। ডেটা সেন্টার বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেখানে গুরুত্বপূণ তথ্য জমা রাখা হয়। তথ্যের সুরক্ষায় দেশে বিদেশে এর পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।
এসব সেন্টারের প্রভাবও পড়ছে পরিবেশের উপর। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে বেশি সোচ্চার হলেও জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব বিস্তারকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানের ছয়টিই সেখানকার। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি)।
জলবায়ু পরিবর্তনে ডাটা সেন্টারের প্রভাব কমানোর বিষয়ে ভাবছে ইউরোপিয়ান কমিশন (ইসি)। এর অংশ হিসেবে মহাকাশে ডাটা সেন্টার স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি উচ্চক্ষমতার কম্পিউটিং ফ্যাসিলিটি থেকে পরিবেশে যে প্রভাব পড়ে সেটি প্রশমনের উপায়ও খোঁজা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, ইসি মহাকাশে ডাটা সেন্টার চালুর বিষয়ে ভাবছে। এজন্য সংস্থাটি অ্যাডভান্সড স্পেস ক্লাউড ফর নিট জিরো এমিশনস অ্যান্ড ডাটা সভরেনটি ইন ইউরোপ (অ্যাসসেন্ড) নামে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালিয়েছে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হরাইজন ইউরোপ প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত।
ডাটা সেন্টারগুলো সম্পূর্ণ সৌরবিদ্যুতে চলবে। এটি কয়েকশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। অপটিক্যাল কমিউনিকেশন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে মহাকাশে থাকা ডাটা সেন্টারগুলোকে পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: