অ্যামনেস্টি ইন্ট্যারন্যাশনাল সাইবার হামলার শিকার

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর কানাডিয়ান ব্র্যাঞ্চ সাইবার হামলার শিকার। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর কানাডিয়ান ব্র্যাঞ্চের জেনারেল সেক্রেটারি কেটি নিভাবান্দি বলেন, এই হামলার ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় তিন সপ্তাহ অফলাইনে ছিল। এই হামলায় চীনকে দায়ি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম “সিকিউর ওয়ার্কস” ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রমনে ব্যবহৃত টুল এবং ধরন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, চীন সরকারের মদদপুষ্ট একটি হ্যাকার গ্রুপ এই আক্রমনের সাতে জড়িত।
কেটি নিভাবান্দি বলেন, বিশ্বব্যাপী হিউম্যান রাইটস নিয়ে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে রাষ্ট্র সমর্থিত টার্গেট করা হচ্ছে, ফলে আমরা আমাদের অ্যাক্টিভিস্ট, ডোনার, স্টাফ এবং স্টকহোল্ডারদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
ইকোনোমিক্স টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ডেটা বেহাতের ঘটনা চলতি বছর অক্টোবরের পাঁচ তারিখে প্রথম বুঝতে পারে। পরে সাইবার এক্সপার্টের মাধ্যমে পরীক্ষা- নীরিক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
ইকোনোমিক্স টাইমস বলছে, গত আগস্টে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামনেস্টি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস-কে এমন সব সংস্থার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, সেসব সংস্থা চীনা হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যবস্তুতে টার্গেট করেছিল। বিশেষ করে উইঘুর, তিব্বতি এবং অন্যান্য জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত চীনা রাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে এটি আহ্বান করা হয়।
বিশ্লেষকরা চীনে সংশোধনের নামে বন্দী শিবিরে আটকে রাখা উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুর সংখ্যা এক মিলিয়ন বা তারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন। এদিকে, এদের সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যদিও চীনা কর্তৃপক্ষ এসব ক্যাম্পগুলোকে চরমপন্থা মোকাবেলায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করে। কিন্তু কতজনকে এই শিবিরে নেওয়া হয়েছে তা তারা কখনই প্রকাশ করেনি।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: