বিস্মিত জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা, সূর্যের বিশাল খণ্ড ভেঙে পড়েছে
প্রকাশিত: ০০:১১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আপডেট: ০৬:৩৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিস্মিত জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা। কী এমন ঘটল ওই দূর মহাকাশে, যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। বিষয়টি জানতে এরইমধ্যে রীতিমতো গবেষণা শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে ভ্রমণরত মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গত সপ্তাহে সূর্যের একটি ছবি পাঠিয়েছে, সেই ছবি দেখার পর মাথায় হাত বিজ্ঞানীদের।
ছবিতে দেখা গেছে, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ ভেঙে গিয়ে এর উত্তর মেরুর চারপাশে ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে।ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, নাসার কর্মকর্তা ও স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ড. তামিথা সকোভ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সূর্যের সেই ছবিটি তার টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন।
ক্যাপশনে তামিথা স্কোভ লিখেছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে তার কোনো অংশ ভেঙে পড়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়।
গত ৬-৭ দশকে কয়েকবার এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে নাসা। তবে সূর্যের কোনো অংশ ভেঙে পড়ে বাতাসে ভেসে নক্ষত্রটির প্রান্তে ঝড়ের সৃষ্টি করার ঘটনা নাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এই ব্যাপারটিই অবাক করেছে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীদের। অপরে এক টুইট বার্তায় তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের যে অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপ্রান্তে সরে এসেছে, সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ সময় সূর্যপৃষ্ঠের ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ হাজার মাইল।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা। ‘স্পেস ডটকম কে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক রিসার্চ’-এর সৌর-পদার্থবিদ স্কট ম্যাকইনটশ বলেছেন, এ ধরনের দৃশ্য তিনি কখনো দেখেননি।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব আনুমানিক ১৪ কোটি ৯৬ লাখ হলেও পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, কয়েক বছর আগে সূর্যে বড় এক সৌরঝড় হয়েছিল। সেই ঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: