‘ডিজিটাল ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠায় কারা আবেদন করলো?

বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাপী প্রচলিত তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা জনগণের নিকট পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবস্থার আইনি কাঠামো, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ইত্যাদি বিষয়সমূহ বিশ্লেষণপূর্বক 'ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপন বিষয়ক গাইডলাইন্স' এর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিটাল ব্যাংক গাইডলাইন অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রচলিত সেবা প্রদানের পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক সেবা প্রদানে আগ্রহী।
গাইডলাইন্স অনুসারে, প্রতিটি ডিজিটাল ব্যাংককে ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩১ এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক হতে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে এবং পরিশোধ সেবা (পেমেন্ট সার্ভিস) পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস রেগুলেশন, ২০১৪ এর বিধানাবলী অনুসরণীয় হবে। ব্যয় সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনীমূলক ডিজিটাল আর্থিক পণ্য ও সেবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিকট সহজলভ্য করার জন্য ডিজিটাল ব্যাংক অনলাইন প্রযুক্তিনির্ভর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যান্য অগ্রসরমান প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশে ব্যাংক ২১ জুন থেকে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আবেদন নেওয়া শুরু করেছে যা চলবে আগস্টের এক তারিখ পর্যন্ত।
ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যে অনেক আবেদন পড়েছে মর্মে খবর চাউর হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. জাকির হোসাইন চৌধুরী সোমবার (২৬ জুন) সোমবার বাংলাভিশনকে বলেন, আমাদের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২১ জুন থেকে যা ১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
আজ (২৬ জুন) সোমবার পর্যন্ত ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় কোন আবেদন পড়েনি। ঈদুল আযহার পর জুলাই মাসে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আবেদন পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: