জো বাইডেনের পরিবর্তে আসছেন মিশেল ওবামা! (ভিডিও)
আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচন উপলক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিএনএন টেলিভিশনে বিতর্ক অনুষ্ঠানে বাজে পারফরমেন্স করেছেন জো বাইডেন। আর এ কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে তার থাকা না থাকা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করার পর জো বাইডেনকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদ। সম্পাদক পরিষদ বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন তিনি। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। মি. বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া।'
এই পরিস্থিতিতে ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের পরিবর্তনে নতুন প্রার্থী দিতে চাইলে বা বাইডেন নিজে সরে দাঁড়ালে পরিস্থিতি কী হবে? ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াটিইবা কেমন হবে? এসব নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
শেষ মুহূর্তে জো বাইডেন যদি সত্যিই বাদ পড়েন, তাহলে তার জায়গায় কে লড়বেন? কাকে দেখা যেতে পারে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে? এই জল্পনায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামার নাম। সাবেক এই ফার্স্ট লেডিকে বাইডেনের চেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে একজন টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ।
রিপাবলিকান এই নেতা রীতিমতো ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আগামী আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কনভেনশনেই বাইডেনকে প্রতিস্থাপন করা হবে। ক্রুজ তার পডকাস্টে বলেছেন, ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জো বাইডেনকে সরিয়ে মিশেল ওবামাকে প্রার্থী করবে। কারণ, বিতর্কে বাইডেন এতটাই খারাপ করেছেন যে, সারাদেশের ডেমোক্র্যাটরা আতঙ্কে রয়েছেন।
তবে এসব আলোচনা-সমালোচনাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না জো বাইডেন। সম্প্রতি নর্থ ক্যারোলাইনায় একটি র্যালিতে বাইডেন বলেছেন, বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটতে না পারলেও ট্রাম্প কে সহজেই হারিয়ে দেওয়ার মতো আত্নবিশ্বাস রয়েছে তার। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন আরও চার বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। বিতর্কে কথা বলার সময় বাইডেনের কণ্ঠ খসখসে শোনাচ্ছিল। তখন ৮১ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট আরও ৪ বছর মেয়াদে কাজ করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়।
বাইডেন নিজে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও সমস্যার সমাধান সহজে হবে না। কারণ, যেসব ডেলিগেট ইতোমধ্যে তাকে সমর্থন দিয়েছেন, তাদেরই নতুন প্রার্থীর জন্য ভোট বা সমর্থন দিতে হবে। ফলে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে একটা বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: