নেতানিয়াহুকে গুপ্তহত্যায় প্রস্তুত হুথি স্নাইপার বাহিনী!

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করছে ইয়েমেনের হুথি বাহিনী। সে লক্ষ্যে প্রস্তুত স্নাইপার দল। রোমহর্ষক একটি মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করে এই বার্তাই দিয়েছে ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে এ খবর। এই ভিডিও প্রকাশ ঘিরে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও চাঞ্চল্য।
ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে গাজাবাসীর প্রতিরোধের প্রতি সংহতি জানিয়ে ১৫ এপ্রিল প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাত পার্বত্য অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ইয়েমেনি যোদ্ধাদের চৌকস একটি স্নাইপার দল। বিশেষ ওই মহড়ায় নেতানিয়াহুর অনেকগুলো ডামি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালাচ্ছে স্নাইপাররা। বলা বাহুল্য, প্রতিটি গুলিই অব্যর্থভাবে ভেদ করছে নিশানা। বুকে, মুখে, কপালে গুলির পর গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দেয়া হচ্ছে নেতানিয়াহুর ডামিগুলো। শুধু স্থির ডামি নয়, ড্রোনের মাধ্যমে উড়িয়ে নেয়া বিভিন্ন ডামি লক্ষ্যভেদ করাও ছিল মহড়ার অংশ। অনায়াসেই সেসব নিশানা ভেদ করে যোদ্ধারা।
মহড়ায় স্নাইপারদের প্রত্যেককেই ছদ্মবেশে অংশ নিতে দেখা যায়। সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় তাদের চোখ-মুখ ঢাকা ছিল ভিডিওতে। প্রত্যেকের হাতে ছিল বহু দূর পর্যন্ত নিশানা করতে সক্ষম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রাইফেল। মহড়ায় নেতানিয়াহু ছাড়াও ইসরাইলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন গাভিরসহ গাজা যুদ্ধের নীল নকশাকারীদের ডামি লক্ষ্য করেও গুলি বর্ষণ করা হয়। কেবল ইসরাইলি নয়, গাজা যুদ্ধে সহযোগী হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ দেশটির আরো কয়েক শীর্ষ কর্মকর্তার ডামি লক্ষ্য করেও গুলি বর্ষণ করে স্নাইপাররা।
এমন এক সময় ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা এই ভিডিও প্রকাশ করলো, যখন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় এই ভিডিও প্রকাশ ইয়েমেনিদের প্রতিরোধ আরো জোরালো করারই ইঙ্গিত, বলছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুসহ অন্যদের ডামি নিশানা করার এই মহড়া প্রতীকী হলেও, এর বার্তা মোটেই প্রতীকী নয়। বরং এর মধ্য দিয়ে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি বার্তা দিতে চেয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ বাহিনী। একই সাথে এটি শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।
এদিকে এরই মাঝে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, ইয়েমেনের সোকোত্রা দ্বীপের কাছাকাছি অবস্থান করছে মার্কিন রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। আগে থেকেই আরেক বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান রেড সি-তে অবস্থান করছে। ইয়েমেনে বিমান হামলা চালাতে এবারে দুটি যুদ্ধজাহাজই ব্যবহার করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে ইরানের সাথে চলমান উত্তেজনার মাঝে কার্ল ভিনসনকে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করে তেহরানকেও চাপে রাখতে চাইছে ওয়াশিংটন।
বিভি/এইচজে
মন্তব্য করুন: