ইরানের হাতে অতি গোপনীয় এআই সমরাস্ত্র, দাবি সেনাবাহিনীর

ছবি: সংগৃহীত
এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তৈরি করলো ইরান। এই সমরাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদের চাপে ফেলতে কার্যকরীভাবে ব্যবহৃত হবে বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইরানের সামরিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, এই প্রযুক্তি একেবারে গোপনীয় রাখা হয়েছে। এছাড়া, এটি শত্রুদের নজরদারির বাইরে নির্মাণ করা হয়।
তবে, নতুন এই সমরাস্ত্রের বিস্তারিত বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সেনাবাহিনীর দাবি, এটি ইরানের সামরিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি, সম্ভাব্য শত্রুদের বিরুদ্ধে ইরানকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ইরানকে তার প্রতিরক্ষা কৌশল আরও সুদৃঢ় করার সুযোগ দিতে পারে, বিশেষ করে সামরিক উত্তেজনার মাঝে।
ইরানের সেনাবাহিনীর পদাতিক বিভাগের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কিওউমার্স হেইদারি জানান, তারা এটি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে তৈরি করেছেন। এছাড়া, এটি সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত। তার মতে, এসব অস্ত্র অত্যাধুনিক ও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন, যা যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত সক্ষমতা প্রদানে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, শত্রুর যেকোনো আক্রমণ বা হুমকি মোকাবেলা করার জন্য তেহরান সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরাকের সাথে যুদ্ধের পর ইরানের পদাতিক বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে, এমনটি উল্লেখ করেছেন কিওউমার্স। তিনি জানান, বর্তমানে তাদের পদাতিক বাহিনী দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সক্ষমতা, উচ্চ দক্ষতা ও হামলা চালানোর ক্ষেত্রে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে। এছাড়া, দ্রুত আক্রমণ করার ক্ষমতাও রয়েছে।
সম্প্রতি, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দেশের সামরিক বাহিনীর শক্তি ও প্রস্তুতি নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইরানের সামরিক বাহিনী এখন অন্য দেশের জন্য একটি আদর্শ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ইরানকে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে দেখছে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সহিংস অভিযান শুরুর পর। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতেও হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরাইল।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: