ভারতকে এবার পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলো পাকিস্তান

ছবি: পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী
পেহেলগামে ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় বারের মতো গোলাগুলি হয়েছে। সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে ভারতকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী বলেছেন, ভারতের দিকে ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র তাক করে রেখেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, আরব সাগরে জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হতে পারে।
ভারতকে পারমাণবিক হামলার হুঁশিয়ারি দিলো পাকিস্তান। দেশটির রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী বলেছেন, ভারতের দিকে ১৩০টি পামাণবিক ওয়ারহেড যুক্ত মিসাইল তাক করে রেখেছে পাকিস্তান। এতে পেহেলগামে ২৬ পর্যটক হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে দেশ দুটির কূটনৈতিক পরিস্থিতি আরও সংকটে মধ্যে পড়লো। ভারতও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশ দুটির মধ্যে থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে আরব সাগরে জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতের নৌবাহিনী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী বলেন, ভারত সিন্ধু নদের পানি বন্ধ করে দিলে তার যথাযথ জবাব দেবে পাকিস্তান। বলেন, মিলিটারি সরঞ্জাম, মিসাইল শুধু দেখানোর জন্য তৈরি করেনি পাকিস্তান। এগুলো সব প্রস্তুত রয়েছে এবং ভারতের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে। সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্যও পাকিস্তান প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন হানিফ আব্বাসী। ভারতের নিরাপত্তা ব্যর্থতার কারণেই পেহেলগামে হামলা হয়েছে বলে দাবি হানিফের। ভারতে কিছু হলেই অকারণে পাকিস্তানের ওপর দায় চাপায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে আরব সাগরে একাধিক জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এটিকে দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বলে মনে করছে দেশটির নৌবাহিনী। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরীক্ষাগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম ইস্যুতে পরিচালিত হয়েছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর আরব সাগরে নির্ধারিত সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল পরীক্ষার আগেই ভারতীয় নৌবাহিনী এই পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করছে।
এদিকে, তৃতীয় দিনের মতো পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলি হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তুতমারি গলি ও রামপুর সেক্টরের বিপরীত দিকে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে এই গোলাগুলি হয়। এতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশ দুটির বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকদের শঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে পারে তারা। তাতে পারমাণবিক হামলার ঝুঁকি থেকেই যায়।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: