ভালোবাসা দিবস নিষিদ্ধের তালিকায় যেসব দেশ

সপ্তাহখানেক ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি ঘোরাফেরা করছে। যেখানে তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ঢঙে ফুল দিয়ে প্রেয়সীকে ভালোবাসা নিবেদন করতে দেখা গেছে। সামাজিক মাধ্যমের এসব চিত্রই স্বরণ করে দিচ্ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা’ দিবসের কথা। বিশ্বব্যাপী নানান আয়োজনে রঙে-ঢঙে পালিত হয় দিবসটি।
প্রেয়সীর খোপায় ফুল দিয়ে, হাঁটু গেড়ে নিজের প্রেম নিবেদন, কেউবা কানে ফুল গুঁজিয়ে আবার নিরিবিলি বসে প্রেয়সীর হাত ধরে নানান উপায়েই বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় এই দিবস। তবে সব দেশই দিবসটিকে সমভাবে পালন করে না। সামাজিক আচার ও ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারণে কোথাও কোথাও স্বল্প পরিসরে পালন করতে দেখা যায় এই উৎসব।
সৌদি আরবঃ
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুশাসন আর কট্টরপন্থি মুসলিম রীতির বাহক এই দেশে প্রকাশ্যে এই দিন পালন করা নিষিদ্ধ। সৌদি আরবে দিবসটি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর সময় থেকেই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তবে অনেকেই লুকিয়ে দিনটি পালন করে এমন খবর রয়েছে।
পাকিস্থানঃ
২০১৭ সালের আগে পাকিস্থানের অনেক জায়গায় দিনটিকে পালন করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালে হাইকোর্টের এক আদেশের পর দিনটি পালন নিষিদ্ধ করা হয়।
মালয়েশিয়াঃ
২০০৫ সালে মালয়েশিয়া জাতীয় ফতুয়া কাউন্সিল ইসলামিক নিয়ম নীতি অনুসারে দিনটি পালন খ্রিষ্ট্রিয় আচারের সাথে মিল থাকায় দিনটি উদযাপন নিষিদ্ধ করা হয়।
ইরানঃ
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, সংস্কৃতি বিরোধী এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব থাকায় ইরানিয়ান সরকার দিনটি উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে, এখনো ইরানে গোপনে ফুল বা কার্ড বিনিময় হয় বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি।
রাশিয়ার বেলগ্রাডে ২০১১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করা হয়। আধ্যাত্মিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
পার্শ্বের দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও দিনটি উদযাপনে নিরুৎসাহিক করে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: