যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে জৈবিক অস্ত্রের ব্যবহার
রাশিয়ার অনুরোধে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ

ইউক্রেনে জৈবিক অস্ত্রের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করছে বলে রাশিয়ার দাবি নিয়ে জরুরী আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে জাতিসংঘ।শুক্রবার (১১ মার্চ) রাশিয়ার এই অভিযোগটি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে বৈঠকটির জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়েছিলো।
বৈঠকের খবরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, জাতিসংঘে মার্কিন মিশনের একজন মুখপাত্র এপি নিউজকে বলেছেন, রাশিয়া ‘বিশ্বের সঙ্গে প্রতারণা করতে বা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে তাদের ভুল তথ্য প্রচারের স্থান হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে।’
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো বলেছে, ইউক্রেনে ভবিষ্যতে নিজেদেরর জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্যই এই অভিযোগটি করছে রাশিয়া।
এর আগে রাশিয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন এই জাতীয় কোনো অস্ত্রই তৈরি করছে না। এসময় রাশিয়াকে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের উপর এসব অস্ত্র ব্যবহার করার প্রস্তুতির জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি।
ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মানবাধিকার, আইনের অনুশাসন এবং গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ তুলে মানবাধিকার সংস্থা ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’ থেকে বের হয়ে গেছে রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা তাসের বরাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনটা জানিয়েছে।
ইউরোপের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অব ইউরোপ, যারা মহাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বজায় রাখার উদ্দেশে কাজ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয়।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: