ফোনে যে কথা বললেন পুতিন-এরদোয়ান

সংগৃহীত ছবি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণায় ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই সংঘাত বন্ধে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। দেশটি এরই মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে। সেই বৈঠকে কার্যকর কোনো সমাধান না এলেও প্রচেষ্টা বন্ধ রাখেনি আঙ্কারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এসময় ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু দাবির কথা এরদোয়ানকে জানান পুতিন।
তাদের দু’জনের ফোনালাপে কী কী বিষয় উঠে এসেছে, তা প্রকাশিত হয়েছে ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে।
তাছাড়া পুতিনের সঙ্গে এরদোয়ানের ফোনালাপ যে অল্প কয়েকজন শুনেছেন, তাদের মধ্যে একজন হলেন এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা ও মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন। ফোনালাপের আধা ঘণ্টার মধ্যে বিবিসি’র আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন কালিন-এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, ফোনে আঙ্কারা কিংবা ইস্তাম্বুলে ভ্লাদিমির পুতিন-এর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির আলোচনায় বসার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এরদোয়ান। ইউক্রেনের সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং মানবিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন দুই প্রেসিডেন্টই। তিনি বলেন, তুরস্ক দু’দেশের চলমান সংঘাত বন্ধের পথ খুঁজতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ তৈরি করবে বলে এরদোয়ানকে পুতিন বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনীয় ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা ফল বয়ে আনবে।
এরদোয়ান বলেন, ইউক্রেনের মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা দরকার। একই সঙ্গে মানবিক করিডোরগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করার আহবান জানান এরদোয়ান।
এর আগে বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেন এরদোয়ান। এতে তিনি বলেন, যুদ্ধ কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, দুই পক্ষকে বৈঠকে বসাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে আঙ্কারা।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
সূত্রঃ বিবিসি।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: