ইমরান খানের ক্ষমতা যায় যায় অবস্থা!

চিন্তিত ইমরান খান
ক্রিকেটার থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দেশটির জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হয়ে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীত্বও বেশ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম দিচ্ছে নতুন শঙ্কার খবর।
এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্তত ২৪ জন সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। ফলে ইমরান খানের ক্ষমতায় টিকা থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের বিরোধীদল দেশটির অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির অব্যবস্থাপনার জন্য ইমরান খানকে দায়ী করে সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে গত সপ্তাহে এ অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অসন্তুষ্ট পিটিআই-এর এই সাংসদেরা বর্তমানে সিন্ধু হাউসে অবস্থান করছেন। এ ভবন সিন্ধু প্রদেশ থেকে ইসলামাবাদে আসা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের অবস্থান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সরকারি মন্ত্রীদের দ্বারা অপহরণের হুমকি থাকায় তাঁরা বর্তমানে সেই ভবনে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন।
সিন্ধু হাউসে অবস্থানরত রাজা রিয়াজ নামের এক সাংসদ বলেছেন, ‘বর্তমানে এ ভবনে ২৪ জন আইনপ্রণেতা অবস্থান করছেন। অনেক পিটিআই আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রীরাও এখানে আসতে প্রস্তুত। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ব্যাপারে যদি আশ্বস্ত করা হয়, তাহলে আমরা এ ভবন থেকে ফিরে যাব।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন ইমরান খান। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়াদকালের আগেই এবার ক্ষমতা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তিনি।
সরকার বাঁচাতে আমরা কোনো ফাঁদে পা দিচ্ছি না।। বিশ্বাসঘাতকতার সংস্কৃতিকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
একটি অনাস্থা প্রস্তাব সফল হওয়ার জন্য পাকিস্তান সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৩৪২ সদস্যের মধ্যে ১৭২ জন সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন। এখনও জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এর মধ্যে তাঁর পিটিআই-এর ১৫৫ সদস্য ও জোট অংশীদারদের ২৩ জন সদস্য রয়েছে।
বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা ১৬৩। বিরোধীরা আশা করছে, ক্ষমতাসীন জোটের কিছু আইনপ্রণেতা ইমরান খানের সরকারকে অপসারণে তাদের সাহায্য করবেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: