শ্রীলংকায় পেট্রল পাম্পে সেনা মোতায়েন

ছবি: রয়টার্স
স্বরণকালের অর্থনৈতিক সংকটাবস্থা বিরাজ করছে শ্রীলংকায়। জ্বালানি, খাদ্য, নগদ অর্থ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঘাটতি আরো প্রকট হচ্ছে। জ্বালাতি সংকটের সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় শ্রীলংকার পেট্রোল পাম্প গুলোতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অর্থাভাবে ইরাকের বাগদাদ ও নরওয়ের অসলোতে অবস্থিত শ্রীলংকান দূতাবাস এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনির কনসাল জেনারেলের অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলংকা। চলতি মাসের শেষদিন বন্ধ হচ্ছে এসব দূতাবাস এবং কার্যালয়ের কার্যক্রম।
বিদ্যূৎ নিয়েও ভোগান্তির শেষ নেই শ্রীলংকায়। প্রতিদিন নিয়ম করে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। গাড়ির জ্বালানি তেল, প্রয়োজনীয় কাজের ব্যবহারের জন্য কেরোসিন নিতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি।
তেল নিতে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তিনজনের মৃত্যূর খবরও শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তেল মজুদ এবং অপর্যাপ্ত তেল সরবরাহের খবরও পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় জ্বালানি সরবরাহ কার্যক্রমে সহায়তা করতে দেশের পেট্রল পাম্পগুলোয় সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শ্রীলংকার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নিলান্ত প্রেমারত্নে বলেন, মানুষকে নিয়ন্ত্রণে নয় বরং তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেই প্রতিটি পাম্পে দুই জন করে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
দুই কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশ শ্রীলংকা কোভিড পরিস্থিতে দেশের পর্যটন শিল্প থেকে পর্যাপ্ত আয় না করতে পারায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন । কারন শ্রীলংকার উপার্জনের সবচেয়ে বড় খাত পর্যটন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: