‘বিশ্বাসঘাতক’ ২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন জেলেনস্কি

সংগৃহীত ছবি
বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবার দুই জ্যেষ্ঠ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ‘ বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
নিয়মিত ভিডিও বার্তায় স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে এতথ্য জানান জেলেনস্কি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ খলনায়কদের ব্যাপারে আরেকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব বিশ্বাসঘাতকদের মোকাবিলা করার সময় আমার নেই। তবে, ধীরে ধীরে তাদের সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে।’
জেলেনস্কি দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘যারা ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আনুগত্যের সামরিক শপথ ভঙ্গ করবে, তাদের অবশ্যই উচ্চ সামরিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
এদিকে, পূর্বাঞ্চলে নতুন রুশ হামলা মোকাবিলার জন্য ইউক্রেন প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এতথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘দনবাসে নতুন হামলার জন্য রুশ সেনাদের জমায়েত করা হচ্ছে। আমরা তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ ছাড়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং আরেক প্রধান শহর চেরনিহিভের চারপাশে রুশ সামরিক অভিযান কমানোর বিষয়ে রাশিয়ার বিবৃতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না। আমরা কোনো মিষ্টি কথায় বিশ্বাস রাখি না।’
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষেবার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তারা হলেন- আন্দ্রেই নাউমভ এবং সের্হি ক্রিভোরুচকো।
কিয়েভ ও চেরনিহিভের কাছাকাছি সামরিক তৎপরতা কমানো নিয়ে রাশিয়ার ঘোষণাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই বলে জানান জেলেনস্কি। কারণ হিসেবে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এক দিন পরেই রুশ বাহিনী কিয়েভ ও চেরনিহিভে হামলা চালিয়েছিলো।
বিবিসি জানিয়েছে, দনবাস অঞ্চলে তীব্র রুশ হামলার পাশাপাশি ইরপিনেও মারাত্মক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর ভূখণ্ড রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা কোনো কিছুই ছেড়ে দেবো না। আমরা আমাদের ভূমির প্রতি মিটারের জন্য, প্রতিটি মানুষের জন্য লড়াই করবো।’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর পর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে শুক্রবার ৩৭তম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়ার অভিযান। এ সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করে যাচ্ছে ইউক্রেন।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: