শনিবারই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হচ্ছে ইমরান খানকে?

নাটকের দৃশ্যায়ন যেন শেষই হচ্ছে না। বরং একের পর এক ক্লাইম্যাক্স আসছে পাকিস্তানের রাজনীতিতে। নতুন করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন তাতে করে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (৯ এপ্রিল)। আর বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে জাতীয় পরিষদের ভোটাভুটিতে ইমরানের হার হলে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার জন্য ডেপুটি স্পিকারের রায় বাতিল করে। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্টের দ্বারা পরবর্তী পার্লামেন্ট অধিবেশন ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করে। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দ্য ডন প্রকাশিত এক খবরে জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারক সর্বসম্মতভাবে এ দুই রায়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আদালত সংক্ষিপ্ত আদেশে বলছে, ডেপুটি স্পিকারের রায় ‘সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী এবং এতে কোন আইনি প্রভাব নেই।’
তারা আরও জানান, পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের ধারা (১) এ বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না। এরপরই আদালত পার্লামেন্টের অধিবেশন অব্যহত রাখতে বলে। আদালত বলেছে, জাতীয় পরিষদ সর্বদা বিদ্যমান ছিল, থাকবে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আদালতের আদেশ প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে তাদের পদে পুনর্বহাল করেছে। আদেশে বলা হয়, ‘পূর্বোক্তগুলোর ফলস্বরূপ, ঘোষণা করা হয় যে প্রধানমন্ত্রী এবং ফেডারেল মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা ইত্যাদি তাদের নিজ নিজ অফিসে পুনরায় কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।’
শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসানোর নির্দেশ: শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের সমাপ্তি ছাড়া অধিবেশন স্থগিত করা যাবে না।
অনাস্থা ভোট হলে ইমরান খানের হেরে যাওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ, তার জোটের শরিক কয়েকটি দল বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ভিন্ন কিছু না হলে শনিবারই অনাস্থায় হার হতে পারে ইমরানের। তখনই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারটা ছাড়তে হবে তাকে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: