পাম অয়েল রফতানি বন্ধের ঘোষণা শীর্ষ উৎপাদনকারী ইন্দোনেশিয়ার

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়ার শঙ্কার মধ্যেই পাম অয়েল রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া। শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ ঘোষণা দেন। বাসা বাড়িতে রান্নার তেলের পর্যাপ্ত ও সাশ্রয়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতেই পাম অয়েল রফতানিতে এ নিষেধাজ্ঞা বলে জানান তিনি। পাম অয়েলকে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত উদ্ভিজ্জ তেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আইসক্রিম থেকে শুরু করে শ্যাম্পু পর্যন্ত বিভিন্ন সামগ্রীতে ব্যাবহার করা হয় এটি।
চলতি বছর ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদনের হার তিন শতাংশ বাড়লেও বৈশ্বিক তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য তা যথেষ্ট নয় বলে মত বিশ্লেষকদের। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়ার মাত্র একদিনের মাথায় এ ঘোষণা আসলো।
ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত মাসে সরকার-নির্ধারিত মূল্যে দেশীয় বাজারের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া কোম্পানিগুলোর রপ্তানি পারমিট দেন।
রান্নার তেল ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় খাবারে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং এটির প্রধান উৎস পাম অয়েল। একই সঙ্গে পাম অয়েল দেশটির রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ববাজারে পড়ায় খাদ্যপণ্য ও তেলের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে সব নিত্যপন্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। ইন্দোনেশিয়াতেও বেড়ে গেছে সব পণ্যের দাম। রমজান মাসে চাহিদা সঙ্গে সঙ্গে সংকট আরও বেড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন: