অনাস্থা ভোটে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব টিকে গেল

‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারির কারণে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অনাস্থা ভোটে ৬৩ বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বরিস জনসন। ফলে আপাতত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকছেন তিনি। বাংলাদেশ সময় সোমবার (৬ জুন) রাতে কনজারভেটিভ দলের এমপিদের এক গোপন ব্যালটে জনসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। বরিস জনসন বিজয়ী হওয়ায় আগামী এক বছর তার বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোনো ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বরিস জনসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ২১১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। ১৯২২ কমিটি হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সে কনজারভেটিভ পার্টির প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি। ১৯২২ সালে নির্বাচিত এমপিদের দ্বারা এই কমিটি ১৯২৩ সালে গঠিত হয়েছিল। সংসদের সব রক্ষণশীল ব্যাকবেঞ্চ সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি। দলীয় নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই ফলাফলের পর যুক্তরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউই, যিনি আগেই বরিস জনসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণ চলার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর ১০নং ডাইনিং স্ট্রিটে পার্টি করেন বরিস জনসন। এ বছরের শুরুতে সেগুলো ফাঁস হয়ে যায়। ওই সময় যুক্তরাজ্যের সকল নাগরিককে কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। জনসন নিজের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন ওই কাজের জন্য এ ঘটনা ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। ওই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষায় হয়নি শেষপর্যন্ত সোমবার (৬ জুন) তাকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: