যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি খাতে রুশ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জ্বালানি খাতে রুশ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও এ কথা স্বীকার করেছেন। খবর: বিবিসি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলো আগামী কয়েক বছরেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গ্যাস নেওয়া বন্ধ করবে না। এই সময়ের মধ্যে কী হতে পারে সেটা কেউ জানে না। ফলে রুশ কোম্পানিগুলোকে তাদের তেল-কূপ বন্ধ করে দিতে হবে না।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বর্তমানে তার প্রয়োজনীয় গ্যাসের ৪০% রাশিয়ার কাছ থেকে আমদানি করে থাকে। ইইউ বলছে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ তেলের ওপর নির্ভরতা ৯০% কমাবে। ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোর এই জোট তেল ও গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার কথা ঘোষণা করে। তবে গ্যাসের ব্যাপারে কতোটুকু হ্রাস করবে এ ব্যাপারে তারা কিছু বলেনি।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, সার্বিকভাবে সরবরাহের পরিমাণ কমে যাওয়া সত্ত্বেও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি রুশ কোম্পানিগুলোর মুনাফাও বেড়ে থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি নিরাপত্তা সংক্রান্ত দূত অ্যামোস হোকস্টেইন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন ‘বিশ্ব বাজারে তেলের পরিমাণ কমছে, কিন্তু দাম বাড়ছে। ফলে কোম্পানির মুনাফা বাড়ছে।’ মস্কোতে রুশ শাসক পিটার দ্য গ্রেটের ৩৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন একদল তরুণের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
বিভি/এনএ
মন্তব্য করুন: