৯ সেকেন্ডে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ৪০ তলা টুইন টাওয়ার (ভিডিও)

ছবি: এনডিটিভি
মাত্র ৯ সেকেন্ডে ধুলায় পরিণত হলো ভারতের উত্তর প্রদেশের নয়ডা শহরে দাঁড়িয়ে থাকা বহুতল জোড়া ভবন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গড়া সেই যমজ অট্টালিকা এখন অতীত। নিয়ম না মেনে গড়ে তোলা হয় ৪০ তলা।
আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। আইনি প্রক্রিয়ায় যমজ অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার ভবনটি গুঁড়িয়ে দিতে লেগেছে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক।
নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী ছিল নয়ডার এই যমজ অট্টালিকার। মাটিতে মিশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিতর্কেরও অবসান হল। ২০০৫ সালে ১৪টি অট্টালিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছিল সুপারটেক নির্মাণ সংস্থা। অট্টালিকাগুলির উচ্চতা ৩৭ মিটারের মধ্যে হতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল নয়ডা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ‘যে যেমন তার জীবনসঙ্গী হবে তেমন’ এটি কুরআনের কোথাও নেই
২০০৬-এ আরও জমি দেওয়া হয় নির্মাণ সংস্থাকে। ২০০৯ সালে স্থির করা হয়, আরও দু’টি অট্টালিকা বানাবে সুপারটেক। তার মধ্যে একটি হল অ্যাপেক্স, অন্যটি সিয়েন। ২৪ তলা পর্যন্ত এই যমজ অট্টালিকা বানানো হবে বলে স্থির করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সেই অট্টালিকা ৪০ তলা করা হয়। আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
এমারল্ড কোর্ট ওনার্স রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এই অনিয়মের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে। অভিযোগ তোলা হয়, নির্মাণকারী সংস্থা উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্ট ওনার্স অ্যাক্ট, ২০১০-এর লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে বাগান করা হবে বলে দলিলে দেখানো হয়েছিল, সেই জায়গাতেই অট্টালিকা গড়ে তোলা হয়। নির্মাণ আইন অনুযায়ী, যেখানে দু’টি অট্টালিকার দূরত্ব ৩৭ মিটার হওয়া উচিত, সেখানে ১৬ মিটার দূরত্বে অ্যাপেক্স এবং সিয়েনকে নির্মাণ করা হয়।
২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা পৌঁছায়। অবশেষে যমজ অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুন: ১২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জামায়াতের
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: