ভারতের প্রথম যুদ্ধবিমান চালক, কে এই সানিয়া মির্জা?

ভারতের প্রথম যুদ্ধ বিমান চালক হতে চলেছেন সানিয়া মির্জা। নামের মিল থাকলেও তিনি কিন্তু টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা নয়। তবে প্রথম মুসলমান নারী হিসেবে যুদ্ধবিমান চালকের ছাড়পত্র পেয়ে ইতোমধ্যেই যিনি ইতিহাসের পাতায়।
সানিয়া ভারতের দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত যশোভার গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া। স্থানীয় পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন।
এর পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি মির্জাপুর শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে ভর্তি হন বলে হিন্দি দৈনিক ‘অমর উজালা’র একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন সানিয়া।
বিমানচালক সানিয়ার জন্য আকাশই সব কিছু। টিভি মেকানিক শহিদ আলির কন্যা সানিয়া ন্যাশনাল ডিফেন্স আকাদেমি(এনডিএ)-র পরীক্ষায় সামগ্রিক ভাবে ১৪৯তম স্থান পেয়েছেন।
এনডিএ-র চলতি বছরের পরীক্ষায় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট ৪০০টি আসন ছিল। যেখানে মহিলাদের জন্য ১৯টি আসন ছিল এবং ফাইটার পাইলটদের জন্য ছিল মাত্র দু’টি আসন। সানিয়া নিজের যোগ্যতায় এর একটিতে জায়গা করে নিয়েছেন।
এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘নারী যুদ্ধবিমান চালকদের জন্য মাত্র দু’টি আসন সংরক্ষিত ছিল। প্রথম বারের চেষ্টায় আমি আসন দখল করতে ব্যর্থ হই। তবে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আমি সেই যোগ্যতা অর্জন করেছি।’’
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার এনডিএ আকাদেমিতে যোগ দেবেন সানিয়া। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সানিয়াই হবেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) প্রথম মুসলমান যুদ্ধবিমান চালক।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা সানিয়া জানিয়েছেন, যুদ্ধবিমানের চালক হওয়ার জন্য তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী। তাঁকে দেখেই তাঁর যুদ্ধবিমান চালক হওয়ার স্বপ্ন জাগে।
সানিয়া বলেন, ‘‘ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদী আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তাঁকে দেখে আমি এনডিএতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আশা করি আমি এক দিন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারব।
বিভি/এসআই
মন্তব্য করুন: