গোপন নথির মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প,পাশে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবার গোপন নথির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে বড় সংবাদ হলো, ট্রাম্পকে অভিযুক্তের পর তার পাশে দাড়িয়েছে ধনকুবের ইলন মাস্ক।
মাস্ক তার এক টুইট বার্তায় মাস্ক লিখেছেন, ট্রাম্পকে এই মামলায় জড়ানোর পেছনে বড় কোন কারন থাকতে পারে। বিচার ব্যবস্থার উপরে জোরপূর্বক কোনোকিছু চাপিয়ে দেওয়া বা পরিবর্তন আনা হলে তা বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা হারাবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ জুন) তাকে মায়ামির একটি ফেডারেল আদালতে তলব করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কী করে এমনটা ঘটতে পারে!
তিনি বলেন, আমেরিকা এখন দ্রুত অধপতনের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা একসঙ্গে আবার আমেরিকাকে শ্রেষ্ঠ করে তুলব! মামলায় বিষয়ে কোন কথা বলেননি ট্রাম্প।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথির অননুমোদিত সংরক্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এ অভিযোগ এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এটি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ এবং একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথম ফেডারেল অভিযোগপত্র।
প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর এফবিআই ট্রাম্পের ফ্লোরিডার এস্টেট থেকে নথিতে পূর্ণ একাধিক বাক্স উদ্ধার করে। এসব নথি হোয়াইট হাউসের গোপনীয় নথি ছিল। পদ ছাড়ার পর এগুলো ট্রাম্পের কাছে থাকার কথা ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট তার মেয়াদ শেষ হলে অফিস ছাড়ার পর প্রেসিডেন্সিয়াল নথি জাতীয় সংরক্ষণাগারে রাখার কথা। যে কাজগুলোকে দেশটির কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অবৈধ বলে পাস হওয়ার পর তা দেশটির প্রেসিডেন্টের সইয়ের মাধ্যমে অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়, সেগুলোকে ফেডারেল অপরাধ বলা হয়।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: