আবারো টাইটানিক ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিলো আলোচিত ওশানগেট!

আবারো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছে টাইটানের কোম্পানি ওশানগেট। ওশানগেটের ওয়েবসাইট ঘেঁটে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কদিন আগেই ওশানগেটের সাবমেরিন টাইটানে টাইটানিক দেখতে গিয়ে পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় যখন বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে তখন আবারও টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিল একই কোম্পানি।
সম্প্রতি টাইটানিক দেখতে গিয়ে আটলান্টিকের নিচে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান টাইটানের যাত্রীরা। প্রায় ১২ দিনের চেষ্টার পর টাইটানকে শনাক্ত ও এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। টাইটানের ধ্বংসাবশেষে মিলেছে যাত্রীদের শরীরের অংশ। সেগুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে এমন অবস্থার মধ্যেও ফের একই যাত্রার বিজ্ঞাপন দিয়েছে ওশানগেট। নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়েছে ওশানগেট।
বিজ্ঞাপনটিতে ওশানগেট জানিয়েছে, আগামী বছর টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য দুটি ভ্রমণ পরিচালনার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রথমটি হবে ১২ থেকে ২০ জুন এবং দ্বিতীয়টি হবে ২১ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত।
এই ভ্রমণের মূল্য ধরা হয়েছে আড়াই লাখ ডলার (আড়াই কোটি টাকা প্রায়)। ওশানগেট জানিয়েছে, এই খরচের মধ্যে রয়েছে একটি সাবমার্সিবল ডাইভ, ব্যক্তিগত বাসস্থান, প্রয়োজনীয় সব প্রশিক্ষণ, সফরের সরঞ্জাম এবং জাহাজে থাকাকালীন সমস্ত খাবারের ব্যবস্থা।
টাইটান যেভাবে টাইটানিক দেখতে গিয়েছিল ঠিক একইভাবে হবে এই ভ্রমণ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রথম দিন যাত্রীরা জাহাজের ক্রুদের সঙ্গে এবং জাহাজে ওঠার জন্য কানাডার সমুদ্রতীরবর্তী শহর সেন্ট জনসে পৌঁছবেন। এরপর আমাদের যানে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে পৌঁছে যাবেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছিল, টাইটান যাত্রায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ফরাসি ডাইভিং বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারজিওলেট এবং পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার কিশোর ছেলে সুলেমানের মৃত্যুর পর ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ টাইটানিক অভিযান বন্ধ করে ওশানগেট।
তবে টাইটান নিখোঁজ হওয়ার সময়েই নতুন করে পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিতর্কে জড়ায় ওশানগেট। এবার আটলান্টিকের নিচে টাইটানিক যাত্রার ফের বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনায় এসেছে কম্পানিটি। গত ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে যাত্র শুরু করে সাবমেরিন টাইটান। যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি সমুদ্রগর্ভ থেকে নিখোঁজ হয়। প্রায় পাঁচ দিন পর সাবমেরিনটির খোঁজ মেলে।
টাইটানিক জাহাজটি ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের এক হাজার ৬০০ ফুট গভীরে রয়েছে, যা সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে দুই মাইলেরও বেশি (প্রায় চার কিলোমিটার) নিচে। এটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশের উপকূল থেকে ৪০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: