যে অভ্যাসগুলোর চর্চা নিয়মিত করা উচিৎ
![যে অভ্যাসগুলোর চর্চা নিয়মিত করা উচিৎ যে অভ্যাসগুলোর চর্চা নিয়মিত করা উচিৎ](https://www.bvnews24.com/media/imgAll/2024April/1716187217-ade4e4926d84414c1289962013628e94-9-2-2405231013.jpg)
ফাইল ছবি
কথায় আছে- মানুষ অভ্যাসের দাস। যে যেমন চর্চা করেন তিনি তেমন হন। ভালো অভ্যাসগুলো অবশ্যই মানুষকে ভালোর দিকে উন্নতির দিকেই ধাবিত করে। অন্যদিকে, খারাপ অভ্যাসের কারণে মানুষ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হন। আর তাই জেনে নিন কি কি অভ্যাস করলে শরীর-মন উভয়ই ভালো থাকবে।
১. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: আপনি কি জানেন যে আপনি যখন ঘুমান তখন আপনি হালকা ডিহাইড্রেটেড হন? ঘুম থেকে ওঠার পরেই পানি পান করলে তা আপনার শরীরকে রিহাইড্রেট করতে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার পুষ্টিগুলোকে পুনরায় পূরণ করতে সহায়তা করে। আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পানি জীবনের অপরিহার্য উপাদানের মধ্যে একটি। সারাদিন হাইড্রেটেড থাকলে তা আপনার মেজাজ এবং ঘুমের উন্নতি ঘটাবে, তাই আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। সেইসঙ্গে সারাদিনই পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
২. কাজের মধ্যে থাকুন: শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে তা ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, হার্টের সমস্যা এবং আরও অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। হাঁটা এবং সাঁতার কাটার মতো সহজ কিছু কাজ আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২.৫ ঘণ্টা সক্রিয় শরীরচর্চায় অংশগ্রহণ করা জরুরি।
৩. স্বাস্থ্যসম্মত তরতাজা খাবার গ্রহণ করুন: শাক-সবজি এবং ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা আপনার শরীরের মৌলিক কাজগুলোকে সহজ করে দেয়। রোগ, বার্ধক্য এবং আরও অনেক কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি।
৪. নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন: মনকে সক্রিয় এবং সৃজনশীল কাজের সঙ্গে ব্যস্ত রাখলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন নতুন এবং আপনার জন্য আকর্ষণীয় কিছু শেখার চেষ্টা করুন। এমন কিছু শিখুন যা আপনি উপভোগ করতে পারবেন। কারণ বিরক্তিকর কোনোকিছু জোর করে শিখতে গেলে তা মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
৫. প্রিয়জনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন: প্রিয়জনের একটুখানি হাসিও আপনার দিনটি সুন্দর করে দিতে পারে। আমাদের পরিবার এবং বন্ধুরা মানসিক সমর্থন হিসাবে কাজ করে। পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটালে তা হতাশা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। আপনি যত বেশি তাদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন, তত বেশি বন্ধন দৃঢ় হবে। আপনি তত বেশি হাসিখুশি থাকতে পারবেন।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: