কতক্ষণ ব্যায়াম করলে কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকি

ওষুধমুক্ত জীবন চাইলে দরকার নিয়মিত ব্যায়াম। বর্তমান সময়ে ওষুধ ছাড়া জীবনযাপন করছেন এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। মানুষের স্বাস্থ্য জীবনের সুস্থতা সবথেকে বড় সম্পদ। আর এই সুস্থতা ও মিলতে পারে একমাত্র শারীরিক কার্যকলাপ কিংবা ব্যায়ামে।
ব্যায়াম প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিরা যখন নিজেরাই কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, তখন বয়সের চেয়ে নিষ্ক্রিয়তা বেশি দায়ী। শারীরিক কার্যকলাপের অভাবের কারণে ডাক্তারের কাছে আরও বেশি যেতে হতে পারে, আরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে পারে এবং বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য আরও বেশি ওষুধ ব্যবহার করতে হতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতা এনে দেয়। যাদের বয়স ৬০-এর ওপরে, তারা যদি সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাহলে বছরে যে টাকা তিনি চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেন, তা অনেকাংশে কমে আসে। নিয়মিত ব্যায়াম হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যারা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে ভুগছেন, তারা যদি প্রতিদিন ব্যায়াম করেন, তাহলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি তিন ভাগের এক ভাগ কমে যায়, মাংসপেশি, হাড় এবং অস্থিসন্ধি শক্ত হয়। মানবদেহে হাড়ের ডেনসিটি বেড়ে যায়, যা অস্টিও আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিসসহ অস্থিসন্ধির বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে অনেক ক্যালরি ক্ষয় হয়, যা স্বাস্থ্যসম্মত ওজন ধরে রাখে। ওজন ঠিক থাকলে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর করে। নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি আমাদের প্রতিদিনের খাওয়ার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করা ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: