যৌবন ধরে রাখে গোলাপ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসসহ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৫ দিনে পালিত হয় নানা দিবস। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের মন রাঙাতে মুখিয়ে আছেন দেশের কোটি তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সীরা। প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে ফুলই শ্রেষ্ঠ। মানুষের মনের খোরাক মেটাতে দিনরাত ব্যাস্ত সময় পার করছেন ফুলচাষীরাও।
প্রিয়জনকে খুশি করার পাশাপাশি গোলাপের অনেক উপকারিতা রয়েছে ।
ত্বকের পরিচর্যায় অন্যতম জনপ্রিয় ও উপকারী উপাদান হলো গোলাপ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ত্বকের যত্নে গোলাপ জল, গোলাপের তেল, পাপড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক যুগেও ত্বক ভালো রাখতে গোলাপের বিকল্প নেই।
গোলাপে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল থাকে। তার ফলে ত্বক ভালো থাকে, নানা সমস্যা দূর হয়। গোলাপের তেল ত্বকের শুকনো ভাব, ত্বকে ভাঁজ ও দাগ দূর করে । টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় গোলাপ জল।
ত্বকে নানা সংক্রমণ দূর করতেও ব্যবহার করা হয় গোলাপ জল। এমনকি, চোখ লাল হয়ে গেলে গোলাপ জল দিলে উপকার পাওয়া যায়।
গোলাপের পাপড়িতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের কোষগুলোকে রক্ষা করে। ফলে নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে ত্বক ভালো থাকে।
গোলাপ জল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। যে কোনো ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে গোলাপ জল। কেটে গেলে, পুড়ে গেলে বা কোনো ক্ষত হলে নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে দ্রুত সেরে যায়।
ক্লান্তি দূর করতে এবং মন ভালো রাখতেও ব্যবহার করা যায় গোলাপ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোলাপ স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। তার ফলে ক্লান্তি ও উদ্বেগ দূর হয়।
অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতেও ব্যবহার করা হয় গোলাপ জল। নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে ত্বক ভালো থাকে, ত্বকের ওপর বয়সের প্রভাব পড়ে না।
চর্মরোগ দূর করতে গোলাপ জলের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে ত্বক ভালো থাকে, চর্মরোগ দূর হয়।
গলা ব্যথা হলেও গোলাপ জল ব্যবহার করা যায়। বহু বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গলা ব্যথা সারানোর জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও খুব একটা নেই।
হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে গোলাপ। ২০০৮ সালে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাবার ঠিকমতো হজম না হলে গোলাপ জল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
বিভি/এএইচ/এসডি
মন্তব্য করুন: