আজ বিশ্ব ঘুম দিবস, যেভাবে এলো এই দিন

ঘুম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অতীব প্রয়োজনীয় কর্ম হলো ঘুম। যদিও চারপাশের সমাজ ঘুমকে কর্ম হিসেবে মেনে নেন না। তবুও জীবনের বড় অংশ জুড়ে থাকে ঘুম। বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছরের মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার ঘুম দিবস হিসেবে পালিত হয়। সেই হিসাবে আজ (১৮ মার্চ) এ বছরের বিশ্ব ঘুম দিবস।
ঘুম এবং শরীরের জন্য বিশ্রামের গুরুত্ব বোঝাতেই ২০০৮ সাল থেকে এই দিন পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি (ডব্লিউএসএস) এই ঘুম দিবস নিয়ে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের উদ্যোগেই শুরু হয় এই বিশেষ দিন উদযাপন। এবারে বিশ্ব ঘুম দিবসের প্রতিপাদ্য- ঘুমের গুণগত মান বৃদ্ধি, নিশ্চিন্তে ঘুম এবং আনন্দময় পরিবেশ।
কাজের চাপে আজকাল ঘুমের ছন্দে ব্যাঘাত ঘটছে অনেকেরই। সারা রাত ধরে জেগে থাকা, রাতে ঘুম না হওয়া এই সমস্যায় জর্জরিত অধিকাংশই। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে সময়ে ঘুমোতেই হবে। নিয়ম করে ৮ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি। নইলে আসবে একাধিক শারীরিক সমস্যা।
ঘুম কোনও বিলাসিতা নয়। মানুষের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হল ঘুম। গায়ের জোরে যারা অনিয়ম করেন তারাও এক সময়ে এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন। আর তাই খেয়াল রাখুন অবশ্যই কোনও ভাবে ঘুমে যাতে ব্যাঘাত না হয়।
গতিশীল বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে মানুষ বড্ড ব্যস্ত হয়ে পগেছে। তাই মানুষের মনে এখন অনেক রকম চিন্তা। আর ঘুমের সময়ও সেই চিন্তা অনেকেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। এই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেই কিন্তু অন্যান্য সমস্যা জাঁকিয়ে বসে।
চিকিৎসকরা বলছেন, দিনের মধ্যে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম সবার জন্য জরুরি। ঘুম ভাল না হলেই হার্টের রোগ, ওবেসিটি এসব যেমন আসে তেমনই কিন্তু কমে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতাও। আর ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। শরীর ক্লান্ত থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে সেখান থেকেই কিন্তু আসে স্লিপ অ্যাপনিয়ার মত সমস্যাও।
স্লিপ অ্যাপনিয়া হল ঘুমের একরকম ব্যাধি। সাধারণত স্থূলকায়, মধ্যবয়সী পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের শেষ পরিণতি হল মৃত্যু। ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষরাই কিন্তু এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেকটা অনিদ্রার মত। তবে বয়স ভেদে কিন্তু এর লক্ষণ ভিন্ন হয়। ওজন যদি খুব বেশি হয় এবং অ্যাডিনয়েডের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে স্লিপ অ্যাপনিয়া অনেক দ্রুত আসে।
সুস্থ থাকতে যা কিছু মেনে চলবেন- ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখুন। কোনও ভাবেই তাকে বাড়তে দেওয়া চলবে না। রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চাও জরুরি। ফুসফুসের কোনও সমস্যা থাকলে আগে থাকতেই সর্ক হন। সেই সঙ্গে নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। পরিবর্তন আনুন প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায়।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: