ছোট্ট কয়েকটি নিয়ম মানুন, শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ুন

যাপিত জীবন এখন বড্ড ব্যস্ত। ছেলে-বুড়ো থেকে শুরু করে সবাই প্রচণ্ড গতিশীল। নার্সারি পড়া শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধ সবাই জীবন নিয়ে ছুঁটছে। দিনভর ছোটার পর রাতের ঘুমেও নেই পরিপূর্ণ প্রশান্তি। কিন্তু নিয়মিত না ঘুমালে জীবনটা যে হয়ে যাবে অর্থহীন, শরীরে বাসা বাঁধবে নানা রোগ। তাই ঘুমানোর জন্য মেনে চলুন ছোট্ট কয়েকটি টিপস।
এটা সত্য যে, ভালো ঘুম শরীর ও মন সতেজ করে। পরিপূর্ণ ঘুমের পর জেগে উঠলেই আমরা ফিরে পাই নতুন জীবন। দরকারি সব দেহরস বা হরমোন যেমন ডোপামিনে টগবগ করতে থাকে। অন্যদিকে ঘুমের অভাব আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন যকৃত, বৃক্ক ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। যা সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবন, কাজ কর্ম, সৃজনশীলতা এবং উৎপাদনশীলতার ওপর।
সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ এই টিপসগুলো মেনে ঘুমিয়ে পড়ুন খুব সহজেই।
* দৈনিক একই টাইমে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। আর সেটা রাত ১১টার মধ্যে হলে সবচেয়ে ভালো। যাই ঘটুক, আপনার দিনের সব কাজ ওই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। ২ ঘণ্টা বেশি রাত জেগে কোনো কাজ করার চেয়ে দুই ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠে সেই কাজ আরও ভালোভাবে করা যায়।
* ঘুমানোর আগে রুমটি পুরো নিকষ কালো অন্ধকার করে নিন। সম্ভব না হলে চোখ ঢাকা পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, আলোর উপস্থিতি গভীর ঘুম ব্যাহত করে।
* ঘুমানোর সময় আপনার ফোনটি বিছানা থেকে দূরে রাখুন। এবং ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে সবরকম ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস দেখা থেকে বিরত থাকুন। মানতে একটু কঠিন হলেও এটা বেশ কার্যকর ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি।
* ঘুমাতে যাওয়ার আগে বই পড়তে পারেন। এতে আপনার ঘুম আসতে বাধ্য।
* ঘুমানোর স্থান ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন।
যেভাবেই হোক পরবর্তী দিনেসর শক্তি সঞ্চয় করতে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তাই নিজেকে সজীব করতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: