৫ খাবারে কমবে ঘামের দুর্গন্ধ

প্রতীকী ছবি
এসেছে গরমকাল। তীব্র গরমে ঘাম হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু বিপত্তি ঘামের দুর্গন্ধ নিয়ে। এটা যেমন আপনাকে সবার মাঝে বিব্রত করে তেমনি আপনি হয়ে ওঠেন সবার বিরক্তির কারণ। ঘামে ভেজা অবস্থায় অফিস-আদালত, বন্ধুদের আড্ডা সব জায়গায় আপনার উপস্থিতি কারও কাম্য থাকে না। অনেক সময় অনেকে বুঝতে পারেন না নিজের গা থেকে বের হচ্ছে উটকো ঘামের দুর্গন্ধ। যা আপনার ব্যক্তিত্ব কমিয়ে দিচ্ছে অনেকের কাছে। চলুন জেনে নেই ঘামের দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণের ৫টি উপায়।
১। পানিঃ ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে পর্যাপ্ত পানি পান করার কোনও বিকল্প নেই। শরীরে পানি কমে গেলে বর্জ্য পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে বাড়ে দুর্গন্ধ। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে সমানুপাতিক হারে পান করতে হবে পানিও। সাধারণ জলের পাশাপাশি ফলের শরবত, গ্লুকোজ, স্যালাইন ইত্যাদি পান করাও বেশ উপকারী। বিশেষ করে বাইরের গরম থেকে ফিরে ঠান্ডা জল না খেয়ে স্যালাইন বা গ্লুকোজ পান করতে পারেন। তবে এড়িয়ে চলুন ঠান্ডা পানীয় ও অতিরিক্ত চা-কফি।
২। দুগ্ধজাত পদার্থঃ টক দই ও ঘোল ঘামের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপযোগী। এই ধরনের খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। ভিটামিন ডি ত্বকে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে সরাসরি দুধ খেলে কারও কারও অসুবিধা হতে পারে। বিশেষত ফুল ক্রিম দুধ এড়িয়ে চলাই ভালো। এমনকি, দুধের কোলিন দুর্গন্ধের সমস্যা উল্টে বাড়িয়েও দিতে পারে।
৩। মৌসুমি শাক-সবজিঃ গরমকালে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে বেশি খেতে হবে মৌসুমি ফল ও শাক সবজি। তেল মশলার পরিমাণ কমিয়ে সেদ্ধ খেতে পারলে বেশি উপকার মিলতে পারে। খেতে পারেন তাজা টমেটোর রসও। কারণ টমেটোতে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট যা ঘর্মগ্রন্থিকে সঙ্কুচিত করে। তবে বাধাকপি, ফুলকপির মতো সবজি এড়িয়ে চলুন। ভাজাপোড়া খেতে হলে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল।
৪। আপেল সিডার ভিনিগারঃ ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে ও দুর্গন্ধ দূর করতে আপেল সিডার ভিনিগার বেশ কার্যকর। সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করার পাশাপাশি আপেল সিডার ভিনিগার নিয়মিত খেলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক থাকে যা কমিয়ে দেয় দুর্গন্ধ তৈরির আশঙ্কা।
৫। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ পরিপাকের সমস্যা হলে একদিকে যেমন বর্জ্য পদার্থ নির্গত হতে সমস্যা হয়, তেমনই গ্যাস অম্বল হলে বেড়ে যেতে পারে দেহের গড় তাপমাত্রাও। এই ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে আসতে পারে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। গোটাশস্য, ডালিয়া ও ওটের মতো খাবার সহজে হজম হয়। ফলে পরিপাকের সমস্যা কমে। খাওয়া যেতে পারে বেরি, অ্যাভোক্যাডো ও আপেল।
তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: