রোজা থাকলেও পানিশূন্যতা আসবে না সহজ ৭টি উপায়ে

রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। ফলে এমনিতেই মানুষের শরীরে কিছুটা পানিশূন্যতা তৈরি করে। তবে নিয়মিত যথেষ্ট পানি পান করলে এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে। একই সাথে শরীরচর্চাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যারা তারাবি নামাজ পড়েন সেটি তারা নিয়মিত পড়লে উপকৃত হবেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ইফতার থেকে আরম্ভ করে সেহরি পর্যন্ত এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। অনেকেই ইফতারের পর আর খেতে চান না। এটি ঠিক নয়। রাতের খাবার খেতে হবে পরিমিত মাত্রায় এবং সেহরিও খেতে হবে। তাহলে পানির ঘাটতি কম হবে।
রোজার সময় যারা রোজা পালন করেন তাদের দিনের বেলায় পানাহারের সুযোগ নেই বলে দীর্ঘ সময় পানি পান করতে পারেন না। অন্যদিকে ঘাম, প্রস্রাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
পানিশূন্যতা থেকে মুক্ত থাকার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যেমন-
> ইফতার ও সেহরির মধ্যকার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করা।
> সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া।
> ইফতারে ফলের রস ও ফলের পরিমাণ বেশি রাখা।
> সরাসরি রোদে না যাওয়া।
> অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া।
> প্রয়োজনে ডাবের পানি বা খাবার স্যালাইন পান করা।
> হালকা শরীর চর্চা করা।
তবে অনেকেই পানি পান করতে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকেন যা মোটেও ঠিক নয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের চা পানের অভ্যাস আছে তারা দুধ চায়ের বদলে রং চা পান করতে পারেন পরিমিত মাত্রায়। আর পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি খাবারে লাউ, কুমড়ো বা পেঁপে জাতীয় খাবার বেশি রাখলে শরীর পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
তবে শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত গোসল এবং চোখে মুখে বারবার পানি দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। এরপরেও শরীরে কোনো সমস্যা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: