রোজায় খেজুর খাওয়ার আগে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিচ্ছেন তো?

রমজান এলেই কদর বেড়ে যায় খেজুরের। বিশ্ববাসীর জন্য এক বিশেষ নিয়ামত এই খেজুর। তবে রমজানে যেন একটু বেশিই আবেদন থাকে খেজুর ঘিরে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সারা বছরই কম-বেশি খেজুর খান। তবে রমজান মাসে প্রতিটি রোজাদার মুসলমানের তাদের ইফতার যেন খেজুর ছাড়া কল্পনাই করতে পারেন না।
তবে অনেক সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অনেকেই না ধুয়ে খেজুর খেয়ে ফেলেন। বিশ্বের অন্যতম খেজুর উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব খাওয়ার আগে খেজুর ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এসএফডিএ) খাওয়ার আগে সব খেজুর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সৌদি গেজেটে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, খেজুরে যদি কোনো কীটনাশক এবং রাসায়নিক পদার্থের অবশিষ্টাংশ থাকে তা কমাতে এমনটা করা উচিত।
এসএফডিএ বলছে, খেজুরগুলো রাসায়নিক পদার্থ যেমন কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ এবং ভারী এবং বিষাক্ত ধাতু দ্বারা দূষিত হয়, অথবা ভৌত কোনো পদার্থ ( ফরেন বডি যেমন ধাতব অংশগুলোর উপস্থিতি) দ্বারা বা অণুজীবের বৃদ্ধি (ইস্ট এবং ছাঁচ) দ্বারা দূষিত হয়।
খেজুর সংরক্ষণের বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ‘ফ্রিজিং’। কারণ এটি অণুজীবকে মেরে ফেলতে বা কমাতে কাজ করে, সেই সঙ্গে বায়োপ্রসেস এবং অক্সিডেশন কমাতে কাজ করে। যতটা সম্ভব কম তাপমাত্রায় খেজুর হিমায়িত করার পরামর্শ দিয়েছে এসএফডিএ।
এছাড়াও খেজুরকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। তবে সেজন্য উপযুক্ত প্যাকেজিং গুরুত্বপূর্ণ, যাতে খেজুর আর্দ্রতার সংস্পর্শে আসতে না পারে এবং বাষ্পকে পালাতে না দেয়।
এসএফডিএ বলছে, কিছু কিছু খেজুর রেফ্রিজারেটরে তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। অবশ্য ‘ড্রায়িং’ পদ্ধতিতেও খেজুর সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে খেজুর এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: