সুস্থ গরু চিনতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

আর মাত্র একদনি বাকি আছে কুরবানির ঈদের। ত্যাগ ও মহিমার বার্তা নিয়ে এসেছে কুরবানি। গরিব দুঃখীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কুরবানির ঈদ অসীম ভূমিকা রাখে। আর তার বড় নিয়ামক গরু বা খাসি।
আজকে ছাড়া আর মাত্র একটি রাতের অপেক্ষা। এখন গরু বা পছন্দের পশু কেনার পালা। অনেকে কিনেছেন, অনেকে কিনছেন আবার অনেকে কিনবেন। তবে ইসলামী বিধানমোতাবেক কোরবানির পশু হতে হবে সবল সুস্থ।
কোনো সমস্যা চিহ্নিত হওয়া পশু কোরবানি করলে মহান আল্লাহর দরবারে সেটি কবুল নাও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃতের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্থ ও অসুস্থ গরু চেনার উপায়—
> ওষুধ দেয়া গরুর মাংসপেশী থেকে শুরু শরীরের অন্য অঙ্গগুলো অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। গরুর শরীরে পানি জমার কারণে বিভিন্ন অংশে চাপ দিলে সেখানে গর্ত হয়ে দেবে যাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেবে।
> অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় এসব গরু স্বাভাবিক নাড়াচাড়া ও চলাফেরা করতে পারে না ও শান্ত থাকে।
> রাসায়নিকযুক্ত গরু ভীষণ ক্লান্ত থাকে ও ঝিমাবে। আর সুস্থ গরু চটপটে থাকে। কান ও লেজ দিয়ে মশা মাছি তাড়ায়।
> সুস্থ গরুর নাকের ওপরের অংশটা ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।
> ওষুধ খাওয়ানো গরুর শরীরের অঙ্গগুলো নষ্ট হতে শুরু করায় এগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে হাঁপাচ্ছে।
> অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেয়া গরুর মুখ থেকে প্রতিনিয়ত লালা ঝরে। এসব গরু কিছু খেতে চায় না।
> সুস্থ গরুর শরীরের রং উজ্জ্বল, পিঠের কুঁজ মোটা, টান টান ও দাগমুক্ত হবে।
> সুস্থ গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। আর রাসায়নিক দেওয়া গরুর পা হবে নরম থলথলে।
> গরুর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বুঝবেন গরুটি অসুস্থ।
> সুস্থ গরুর চামড়ার ওপর দিয়ে কয়েকটা পাঁজরের হাড় বোঝা যাবে।
শরীয়তেদর বিধান মেনে কুরবানি করুন। আর সঠিক পশুটি বেছে নিন গুরুত্বের সাথে যাচাই-বাছাই করে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: