এই লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি করা নিয়ে শুরু হবে তোড়জোড়। ঈদুল আজহার মহিমান্বিত ত্যাগের শিক্ষা নিয়ে সামর্থবান মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন। ইসলামের বিধান মতে ভাগাভাগি করে দিবেন মাংস। নিজেদের খাওয়ার জন্যও রাখবেন এক ভাগ।
নিজেদের খাওয়ার জন্য কোরবানির পর মাংস সংরক্ষণে ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকের বাড়িতে ফ্রিজ না-ও থাকে পারে। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে চলছে লোডশেডিং। ভয়াবহ লোডশেডিংয়েও মাংস নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না।
এছাড়াও অনেকে আবার দূরবর্তী প্রিয়জনের কাছে গরুর মাংস পাঠান। কিন্তু কাঁচা বা রান্না করা মাংস পচনশীল হওয়ায় তা পাঠানো সম্ভব হয় না। এটা নিয়ে চিন্তা নয়। রয়েছে দারুণ টিপস।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে ভাগে কোরবানি হবে না
গরুর মাংস সংরক্ষণ করার প্রাচীন উপায় শুঁটকি করে রাখা। সাধারণত শুটকি বলতে শুকনা মাছের মতো মাংসকেও শুকিয়ে সংরক্ষণ করা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাংস শুকিয়ে কয়েক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
মাংসের শুটকি তৈরির প্রক্রিয়া: প্রথমে মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করুন। খুব ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে; যেন ভেতরে কাঁচা না থাকে। মনে রাখবেন, কাঁচা মাংসের শুটকি হয় না। কারণ মাংস কাঁচা থাকলে পচে গন্ধ ছড়ায়।
আরও পড়ুন: কোরবানির গোশত ভাগ করতে যে যে নিয়ম মানতে হবে
সেদ্ধ হয়ে গেলে বড় চালুনিতে ঢেলে পানি ঝরিয়ে ঠান্ডা করুন। এবার মাংসের টুকরোগুলো গেঁথে কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। রোদে শুকালে মাংস বেশি দিন ভালো থাকে। কোনো কারণে যদি রোদ না পাওয়া যায় তবে চুলার আঁচে শুকাতে পারেন। মাংস ভালো করে শুকিয়ে গেলে তার থেকে খুলে এয়ার টাইট টিনে বন্ধ করে রাখুন।
মাংসের শুটকি রান্নার পদ্ধতিও বেশ সোজা। গরম পানি করে তাতে টুকরোগুলো ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর থেঁতো করে মাংসের ঝুরি রান্না করা হয়। চাইলে ভুনাও করতে পারেন। এভাবেই ফ্রিজ ছাড়াই মাংস সংরক্ষণ করা যায় দীর্ঘদিন।
আরও পড়ুন: সুস্থ গরু চিনতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: