যেসব ফর্মুলা দাওয়াত খাওয়ার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে

সংগৃহীত ছবি
চলছে ঈদের আনন্দ। কোরবানির ঝক্কি-ঝামেলা শেষ। সমাপ্তির দিকে ক্লান্তিও। এবার উপভোগের পালা। একে-অপরকে দাওয়াত দেয়া ও দাওয়াত গ্রহণ করার সময় চলে এসেছে। দাওয়াতে যাওয়ার আগে বেশি করে খাওয়ার কিছু টিপস জেনে নিন।
প্রথমেই মনে রাখতে হবে, ‘পেটের জায়গার নিত্যতা’ সুত্র। আপনার পেটে মোট জায়গার পরিমাণ নির্দিষ্ট। তাই কোনো পানীয় বা ডিম বা শসা, গাজর, টমেটো খেয়ে মূল্যবান জায়গা ভরাট করে ফেলবেন না। ভালো আইটেমের জন্য জায়গা খালি রাখুন।
খাবার সামনে এলেই হুটহাট খাবেন না। সবগুলো খাবার দেখে এরপর প্রি-স্ক্যানিং করুন। কোন কোন খাবার আপনার পছন্দের। কোনটা ভালো এগুলো বোঝার চেষ্টা করে ধীরে ধীরে খাওয়ার প্ল্যান করুন। আর খাবার নেওয়ার সময় অপছন্দের আইটেম নিয়ে প্লেট ভরাবেন না।
আর দেখতে চমৎকার কোনো আইটেম দেখেই ওইটা টান দিবেন না। খাবারের আগে সংযত থাকুন। চোখের ক্ষুধায় পড়ে গেলে পেটে খাবার ঢুকাতে পারবেন না।
আশযুক্ত খাবার যেমন, রাইস, নান রুটি কম করে নিবেন। এইগুলা ফিলার। খুব দ্রুত পেট পুরায় বা ফুলায় ফেলবে। বেশি খাইতে পারবেন না। মুরগির মাংসের বড় বড় পিস থাকলে, চিপাচাপা থেকে ছোট এক টুকরা খুঁজে বের করেন।
ধাপে ধাপে খাওয়ার প্ল্যান করুন। যেই আইটেম খুব ভালো লাগছে সেটা ধীরে ধীরে খেয়ে সময় পার করুন। এতে করে পেটের ওপর চাপ কম পড়বে।
মিষ্টান্ন খাবার পরিত্যাগ করুন। নিতান্তই যদি নিতে হয় তাহলে ২/১ কামড় খাওয়ার চেষ্টা করুন অথবা অন্য কারো সাথে শেয়ার করে খেতে পারেন।
সবমিলিয়ে পরিমিত আহার করুন। সুস্থতার জন্য অল্প আহার ভালো। কিন্তু ভোজনরসিক হলে আলাদা কথা। তবে দাওয়াতদাতার প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে অতিরিক্ত না খাওয়াটাই ভালো। এতে করে ভবিষ্যতে দাওয়াতের তালিকা থেকে নামটা বাদও পড়তে পারে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: