যেসব স্বভাব থাকলে বুঝবেন আপনি রাতে জন্মেছেন

একজন মানুষের জীবন কোন পথে যাবে, তা নাকি জন্মের সময়ের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে। এমনকী এমনটাও মনে করা হয় যে যারা রাতে জন্মান তাদের থেকে স্বভাবগত দিক থেকে অনেকটাই আলাদা হন দিনে জন্মান মানুষেরা। কী কী পার্থক্য এক্ষেত্রে হয়ে থাকে চলুন দেখে নেওয়া যাক রাতে জন্মানো মানুষের মধ্যে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকে।
মা, না বাবা কাকে বেশি ভালভাসবে, পড়াশোনাতেও বা কেমন হবে, স্বাভাব ভাল হবে না খারাপ, এই সব কিছুই নির্ভর করে জন্মের সময়ের উপর। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাই তো বলি একবার এই লেকাটি পড়ে দেখে নিন না, আপনার স্বভাবের উপর জন্মের সময়ের কোনও প্রভাব আছে কিনা!
> ভারতীয় পূরাণ অনুযায়ী সূর্য ডোবার পর এবং চাঁদের উপস্থিতিতে যারা জন্মান, তারা খুব ভাবুক এবং কল্পনাপ্রবণ হন। যে কারণে শিল্পকলার প্রতি, বিশেষত গান এবং পেন্টিং-এর দিকে এদের আলাদাই একটা টান থাকে। শুধু তাই নয়, এমন মানুষরা খুব দুরদর্শীও হন।
> রাতে জন্মানো মানুষেরা বাবার তুলনায় মায়েদের বেশি ভালবাসেন। সেই সঙ্গে ছোট ছোট বিষয়ের দিকে এদের নজর থাকে, বিশেষত যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসে, তখন এমন মানুষেরা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় বিশ্লষণ করে তবেই শেষ সিদ্ধান্ত নেন।
> এরা খুব আত্মবিশ্বাসী হন। তবে দিনের বেলা এরা খুব একটা লোকজনের সঙ্গে মিশতে চান না, যতটা রাতের বেলা করে থাকেন। বলতে পারেন, রাতে জন্মানোর কারণে এরা ওই সময়ই বেশি অ্যাকটিভ হয়ে ওঠেন।
> রাতের বেলা যারা জন্মান তারা বেজায় উৎসাহপ্রবণ এবং মন ভোলা হন। শুধু তাই নয়, এরা কল্পনাপ্রবণ হওয়ার কারণে ক্রিয়েটিভ ফিল্ডে খুব সুনাম অর্জন করেন।
> এরা খুব বুদ্ধিমান এবং বেজায় সমালোচকও হন। এমন মানুষদের চারিপাশে কী ঘটছে সে বিষয়ে এদের খুব নজর থাকে। এক কথায়, এরা খুব জ্ঞানী হন। বন্ধুভাগ্যও এদের বেশ ভাল হয়।
তবে দিনে হোক বা রাতে হোক প্রতিটা মানুষের বৈশিষ্ট্য স্বতন্ত্র। এ কারণে নিজের বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বাভাবিক জীবনকে রুদ্ধ করবেন না। অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে নিজের স্বাধীন সত্ত্বা নিয়ে বাঁচুন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: