নির্বাচন কমিশনের ‘হেভি ইয়ার’ শুরু

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চলতি বছর পাচঁটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তাই এই বছরটিকে ‘হেভি ইয়ার’ বলছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার (০১ জানুয়ারি) বছরের প্রথম দিন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে, এ বছর শেষে বা আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। তাই কাজের সময়ের সঙ্গে হাঁটলে আর আমাদের হবে না, আমাদের দৌঁড়াতে হবে। আমরা প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করি। এছাড়া ভোটের প্রশিক্ষণ চলছে, চলবে।
যে রোডম্যাপ তৈরি করেছে তা বাস্তবায়নে ইসি সঠিক পথেই রয়েছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করবো। আমরা আশাকরি যে আইন সংশোধনের বিষয়টিও আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে। আইনমন্ত্রী বলেছেন যে কাজটা প্রায় শেষের পথে কয়েকদিনের মধ্যেই পাঠিয়ে দেবো। এক্ষেত্রে আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আইন সংশোধনের কাজ শেষ করতে পারবো।
সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের কাজটা আশাকরি জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো। মে মাসের মধ্যেই যাতে করতে পারি সে চেষ্টা থাকবে। জনশুমারির চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরোকে চিঠি লিখেছি। তারা যদি ওটা জুনের পরে করে তাহলে তো সেটা আমলে নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বর্তমানে যে অবস্থা আছে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। খুব বেশি আসনের প্রস্তাব আমরা পাইনি। সেগুলোর ওপর কাজ শুরু করেছি।
ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, ২ মার্চ চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এটার জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।
ভোটকেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা পুর্নির্নিধারণ হলে আগস্টের মধ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে। তবে চূড়ান্ত করতে হয়তো নভেম্বর পর্যন্ত লেগে যাবে।
নতুন দলের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন দলের নিবন্ধনের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। অনেক অনেক কাগজ তারা দিয়েছিলেন। সেগুলো বাছাই করা হয়েছে। নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়াও জুনের মধ্যে করে ফেলবো বলে আশাকরি।
ইভিএমের নতুন প্রকল্পের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমের নতুন প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আছে। আর সরকার থেকে ১৩ জন জনবলের অনুমোদন দিয়েছে। এখন ১৩ জন জনবল দিয়ে কিন্তু চালানো যাবে না। অর্থ বিভাগকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছি। এখন যাই হোক ইভিএম প্রকল্প দ্রুত পাস হওয়া উচিত। যদি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হয় এবং তারপরে অনুমোদন হলে আমাদের জন্য খুবই ডিফিকাল্ট হবে। বিএমএফ বলেছে এরপর হলে ইভিএম সাপ্লাই দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। কেননা, এলসি হবে বিদেশ থেকে মালামাল আসবে। এসব নানা কর্মযজ্ঞ রয়েছে।
আমরা ইভিএম নতুন প্রকল্প না হলে হাতে যা আছে তা দিয়ে যতটুকু করা সম্ভব, ততটুকু করবো। বাকি আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করবো যোগ করেন তিনি।
কর্মকর্তাসহ জনবলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। পুরো বছরই ভীষন ব্যস্ত থাকতে হবে। রোডম্যাপের সাথেই চলছি। পিছিয়ে নেই। এগিয়ে থাকলে ভালো যোগ করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
বিভি/এইচকে
মন্তব্য করুন: