স্মার্ট শেরপুর জেলা বিনির্মাণে করনীয় র্শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

উন্নয়নের স্বার্থে শেরপুর জেলার উন্নয়নে দলমত ও বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক, অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ গোলাম রহমান।
ডক্টর গোলাম রহমান বলেন, শেরপুর জেলার অধিবাসী সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, ও নাগরিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
ডক্টর গোলাম রহমান আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করতে চাই না। কিন্তু উন্নয়নের এই যে দাবি-দাওয়া এগুলো তো রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানিফেস্টো। এজন্যই তো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপরও কেন উন্নয়ন হচ্ছে না। এমন না যে তারা কেউ হঠাৎ করে নেতা হয়েছেন। তারা কিন্তু যুগযুগ ধরেই আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সুতরাং ব্যক্তিগত আক্রমণ না করলেও আমাদের আত্মসমালোচনার জায়গা আছে। হয়তো আমাদের নেতারা ডেলিভারি দিতে পারেনি। কেন পারেননি বা করেননি সেটা ভাবতে হবে।
শুক্রবার ( ১১ আগস্ট) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রেসক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী কনফারেন্স হলে 'স্মার্ট শেরপুর বিনির্মাণে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ।
সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব জনাব দিলদার আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জনাব মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ড. রিয়াজুল হাসান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও প্রবন্ধপাঠ করেন জাতীয় সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর এর সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান (শাশ্বত মনির) এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়কারী মো. হাফিজুল করিম।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ শেরপুর জেলা সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি শফিক খান, ঢাকাস্থ ঝিনাইগাতি যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বিন রাজ্জাক, মাওলানা জহুরুল হক, সুলতান মাসুদুজ্জামান, আল আমিন রাজ, আবু তালেব, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেরপুর জেলার উন্নয়নে ৮দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এসময় ঢাকাস্থ এবং ঢাকার বাইরের শেরপুর জেলার বিশিষ্টজন শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, অধ্যাপক, প্রকৌশলী, সরকারী কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ক্যাডার, সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: