চাঁদা তুলে পরিচয়হীন শিশুর চিকিৎসা করছেন ঢামেকের চিকিৎসক-নার্স
পাঁচ মাস বয়সি এই শিশুটি ঢাকা মেডিকেলের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। পৃথিবীর আলো দেখার সময় পাঁচ মাস হলেও নেই ওর নাম পরিচয়। ব্রেনে সমস্যার কারণে তার অপারেশনও হয়েছে। অথচ শিশুটি জানে না, এই কঠিন সময়ে রক্তের সম্পর্কের কেউই তার পাশে নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরা তার সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসহ সার্বিক সেবা দিচ্ছেন।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বুঝ হওয়ার আগেই অসুস্থ এই শিশুটিকে খোলা আকাশের নিচে তপ্ত বালুর উপরে ফেলে গেছে। ও জানে না, কে তার বাবা, কে তার মা। জানাগেছে, রুপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের কাছে বালুর মাঠে শিশুটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রুপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে গত শুক্রবার তার জায়গা হয় ঢাকা মেডিকেলে। নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় চিকিৎসা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি গর্ভে থাকা অবস্থায় অতিরিক্ত পানি জমেছে। অপারেশনের পর উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধরে এটি আরো উন্নতির দিকে যাবে।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর অজ্ঞাত এই শিশুর চিকিৎসায় কিছু অর্থ ব্যায় করছেন। মানবিক বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলেও চিকিৎসা ব্যায় মেটাতে সহযোগিতা করছেন। অবদান রাখছেন নার্সরাও।
জানাগেছে, এরআগেও বিভিন্ন সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন রোগির চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। বাংলাদেশে পরিত্যক্ত অবস্থায় নবজাতক এবং কম বয়সি শিশুদের উদ্ধারের ঘটনা নতুন নয়। কখনো এরকম দু-একটি উদ্ধারের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে বড় বড় শিরোনাম হয়। কিন্তু বেশীরভাগ ঘটনাই থেকে যায় অপ্রকাশ্য।
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: